দিল্লিতে ঘরের ভিতরের দূষণও ভয়াবহ! আন্তর্জাতিক গবেষণায় চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
দিল্লিতে (Delhi) দূষণের (Pollution) মাত্রা শুধু ঘরেই বাইরেই নয়, ঘরের ভিতরেও (indore)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া মাত্রার থেকে ২০ গুণ বেশি এই দূষণ। চিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গবেষণায় এমনটাই উঠে এসেছে। তবে এব্যাপারে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভারও রয়েছে।

দিল্লিতে ঘরের ভিতরের দূষণ মাত্রাও ভয়াবহ
যেসব ধূলিকণার জন্য সেই তার পরিমাপ ২.৫ মাইক্রোমিটারের থেকে বেশি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। যেখান থেকে এই পরিমাপ পাওয়া গিয়েছে, তার কাছেই সরকারি নজরদারিরে ঘরের বাইরে পাওয়া ধূলিকণার পরিমাপের থেকেও বেশি বলেই জানা গিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, দিল্লিতে ধনী হোক কিংবা দরিদ্র কেউই নিঃশ্বাসের জন্য পরিশ্রুত বাতাস পান না।

বিত্তবানদের ঘরে বেশি সুরক্ষা
এই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে দিল্লিতে বিত্তবানদের ঘরে এয়ার পিউরিফায়ার রয়েছে। যে কারণে তাঁরা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে ঘরের মধ্যে বায়ু দূষণের মাত্রা ১০% বেশি। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঘরের ভিতরে এয়ার পিউরিফায়ার-সহ দূষণ প্রায় ৮.৬% হ্রাস পেয়েছে। ফলে এই ধরনের বাসিন্দারা এইভাবেই বায়ুদূষণের মাত্রা কিছুটা হলেও কমাতে সক্ষম।
দূষণের মাত্রা না জানলে ব্যবস্থা নেওয়ার উপায়ও নেই
গষেকরা বলছেন, এটা এমন একটা পরিস্থিতি যেখানে কেউ যদি বাড়ির ভিতরের দূষণ সম্পর্কে না জানেন, তাহলে বিষয়টিকে নিয়ে সেরকম চিন্তা করেন না। ফলে সেইসব ব্যক্তির এইসব ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার উপায়ও থাকে না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা এবং পরিষ্কার বাতাসই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারে।

সকালে ও সন্ধেয় দূষণ বেশি
২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সমাজের বিভিন্ন আয়ের মানুষের বাড়িতে সমীক্ষা চালানো হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, ঘরের ভিতরে দূষণের মাত্রা সকাল এবং সন্ধেয় ২.৫ মাইক্রোমিটারের থেকে বেশি হয়ে যাচ্ছে, কেননা সেই সময়ে রান্না হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরের বাইরের দূষণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা গিয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ঘরের ভিতরের দূষণ নিয়ে এখনও অজ্ঞ। ঘরের ভিতরের দূষণের কথা বলতে গেলে, সেখানে অফিস এবং স্কুলের বিষয়টিও এসে পড়ে। এইসব জায়গাতেই অতিমাত্রায় দূষণ রয়েছে।

সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঘরের ভিতরের দূষণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি। ঘরের বাইরের দূষণ নিয়ে যেমন প্রচার রয়েছে, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক, তা মানুষকে বোঝানো যায়, সেরকমই ঘরের ভিতরের দূষণ নিয়ে যেমন গবেষণা জরুরি, ঠিক তেমনই তা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।