ভারতে ভ্রমণকারী মহিলা পর্যটকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি ব্রিটেনের
হায়দরাবাদে পশুচিকিৎসককে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ভারত এখন উত্তাল। এরই মাঝে মারা গেলেন উন্নাওয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণী। এ ঘটনার আগেই মহিলা পর্যটকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল যুক্তরাজ্য। মহিলাদের জন্য ক্রমশ অসুরক্ষিত হয়ে ওঠা ভারতে ভ্রমণে ইচ্ছুক মহিলা পর্যটকদের জন্য এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রও একই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছিল মার্চ মাসে।
যৌন নির্যাতনের শিকার হলে কী করতে হবে?
যুক্তরাজ্যের কোনও নাগরিক ভারতে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হলে তাঁকে কী করতে হবে, মূলত এই বিষয়েই নির্দেশিকাটি জারি করা হয়েছিল। গত ২৬ নভেম্বর নিজেদের ওয়েবসাইটে ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য এই সতর্কতা জারি করে যুক্তরাজ্য। এর আগে চলতি বছরের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রও ভারত ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছিল। নিরাপত্তার দিক থেকে ভারতকে 'লেভেল-২'-এ রেখে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
তাৎক্ষণিকভাবে ১০০-তে ফোন করতে হবে
ব্রিটিশ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভারতে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি পুলিশ সেবা নম্বর ১০০-তে ফোন করতে হবে। পুরুষ কর্মকর্তার পরিবর্তে মহিলা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানানোর ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়। আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার মহিলাকে অবশ্যই থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে। স্থানীয় পুলিশ ইংরেজিতে অভিযোগ লিখতে বাধ্য নয়, তবে সই করার আগে অভিযোগের ব্যাপারে কী লেখা হল, সেটি অবশ্যই অভিযোগকারীকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে পড়ে শোনাতে হবে।
চিকিৎসকের কাছে বিবৃতি দিতে হবে
ব্রিটিশ সরকারের আরও বলেছে, পুলিশের পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও অভিযোগ জানাতে হবে। তদন্তকাজের জন্য ওই ঘটনার সময় পরে থাকা সব পোশাক পুলিশ নিজেদের জিম্মায় রাখতে পারবে। থানা কিংবা হাসপাতালে যাওয়ার সময় সঙ্গে অতিরিক্ত পোশাক রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় লেখা আছে, 'নির্যাতনের শিকার মহিলাকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পুলিশ কোনও সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাবে। সাধারণত কোনো মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মহিলা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এই পরীক্ষা হওয়ার কথা। ঘটনার সময় কী হয়েছিল, সে ব্যাপারে চিকিৎসকের কাছে বিবৃতিও দিতে হবে।'