সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ, ৮ জানুয়ারি ধর্মঘটে অনড় শ্রমিক সংগঠনগুলি
সরকারের শ্রমমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় মেলেনি কোনও সমাধান সূত্রে। সেই কারণে ৮ জানুয়ারি ধর্মঘটে পথেই যাচ্ছে বামপন্থী-সহ অন্য শ্রমিক সংগঠনগুলি।
সরকারের শ্রমমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনায় মেলেনি কোনও সমাধান সূত্রে। সেই কারণে ৮ জানুয়ারি ধর্মঘটে পথেই যাচ্ছে বামপন্থী-সহ অন্য শ্রমিক সংগঠনগুলি। আইটাকের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার ধামলে জানিয়েছেন, মন্ত্রকের তরফ থেকে শ্রমিকদের উন্নতি নিয়ে দাবির প্রসঙ্গে কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। তাই তারা দেশব্যাপী ধর্মঘটের দিকে এগিয়ে যাবেন।
শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গাঙ্গোয়ার এবং শ্রম মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়া দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন আইটাকের সুকুমার ধামলে। তিনি জানিয়েছেন, মূল বিষয়গুলি নিয়ে খুবর কমই আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, উচ্চতম ন্যুনতম মজুরি, শ্রম সংস্কারের রোলব্যাক। এছাড়াও চুক্তিভিত্তিক শ্রমবাহিনী প্রত্যাহারের বিষয়টিও ছিল।
শ্রমমন্ত্রকের তরফ থেকে তিনটি বিস্তৃত ক্ষেত্র নিয়ে আলোাচনার জন্য একটি সভা ডেকেছিল। যার মধ্যে ছিল কর্মচারী রাজ্য বিমার কার্যকারীতা, ট্রেড ইউনিয়নগুলির দাবি সনদ এবং শ্রমিকদের কল্যাণের মতো বিষয়। শ্রমমন্ত্রক ইএসআই-এর সুবিধা আরও বাড়িয়ে শিল্পের বাইরের শ্রমিকদেরও দিতে চায়।
সিটু নেতা এআৎ সিন্ধু বলেছেন, শ্রমমন্ত্রকের সঙ্গে তাদের বৈঠকটি খুব তাড়াতাড়ির মধ্যে ডাকা হয়েছিল। ইউনিয়নগুলিকে একদিন আগে জানানো হয়েছিল। এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল যাতে মনে হয় সরকার বিস্তৃত আলোচনা চায়। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিমি বলেছেন, এবার দেশব্যাপী আরও শক্তিশালী প্রতিবাদ দেখা যাবে। শ্রমিক, ছাত্র সবাই তাতে অংশ নেবেন। গ্রাম থেকে জাতীয় রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়বে সেই আন্দোলন।
অন্যদিকে আরএসএস-এর শ্রমিক সংগঠন বিএমএস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শুক্রবার তারা আলাদা করে ধর্মঘট পালন করবে সরকারের শ্রম সংস্কারের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ এই সংস্কারে সরকারের কিছু প্রস্তাব শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী।
জেএনইউতে এবিভিপির তাণ্ডবকে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার সঙ্গে তলনা করলেন উদ্ধব ঠাকরে