কৃষক আন্দোলনে ‘বামপন্থী ও মাওবাদীদের অনুপ্রবেশ’! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভের ত্রয়োদশ দিন হয়ে গেল। এই মর্মে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল শনিবার বলেন, ‘বামপন্থী ও মাওবাদীদের অনুপ্রবেশে’ আন্দোলন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের বিক্ষোভের ত্রয়োদশ দিন হয়ে গেল। এই মর্মে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল শনিবার বলেন, 'বামপন্থী ও মাওবাদীদের অনুপ্রবেশে' আন্দোলন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এই আন্দোলনকে কৃষক আন্দোলন বলা চলে না। জাতীয়তা বিরোধী কার্যক্রমের অঙ্গ হয়ে উঠছে কৃষকদের এই আন্দোলন।
পীযুষ গোয়েল আরও বলেন, এই আন্দোলন করা হচ্ছে সরকারকে কৃষিক্ষেত্রের সংস্কার থেকে বিচ্যুত করার জন্য। আমরা এখন বুঝতে পেরেছি যে, তথাকথিত কৃষক আন্দোলনে খুব কমই কৃষক রয়েছেন। এটি বামপন্থী এবং মাওবাদীদের আন্দোলন হয়ে উঠছে। আমরা গত দু'দিন ধরে দেখেছি কৃষকদের এই আন্দোলনে বহিরাগত অনুপ্রবেশ ঘটছে।
তিনি বলেন, কৃষকদের প্লাটফর্মে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা যে দাবি উত্থাপন করেছে তা স্পষ্টভাবেই প্রমাণ করে যে, কৃষি আইনকে বেলাইন করার জন্য এসব হচ্ছে। যাঁরা এসব করছেন তাঁরা ভারতের ভালো চান না। প্রকারান্তরে তাঁরা ভারত বিরোধিতা করছে। আমরা বুদ্ধিজীবীদের অনুরোধ করব, এই কৃষি আইনটি বোঝার জন্য।
পীযুষ গোয়েল বলেন, কৃষি আইন হয়েছে সারা দেশে প্রায় ১০০ মিলিয়ন কৃষকের সুবিধার জন্য। এই আইন এনেছে কৃষককল্যাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি সরকার। এই কৃষক আন্দলনের নামে বিশৃঙ্খলায় অসন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী| অসন্তুষ্ট দেশবিরোধীরা কৃষকদের বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, কেন্দ্রীয় বিরোধী শক্তিগুলি হাইজ্যাক করছে কৃষকদের আন্দোলন।