লাদাখ সীমান্ত নিয়ে রাজনৈতিক তরজা, রাহুল গান্ধীকে 'শিক্ষা' দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর!
বিগত একমাস ধরে চলছে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এই আবহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এদিন দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্তরের বৈঠক। প্রথমে আটটায় সেই বৈঠক শুরু হওযার কথা থাকলেও পরে গিয়ে তা শুরু হয় দুপুর দুটোয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তোপ দাগেন রাহুল গান্ধী
তবে এরই মধ্যে ফের লাদাখ সীমান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার বাড়বাড়ান্ত নিয়ে প্রথম থেকেই কেন্দ্রকে কোণঠাসা করার পন্থা নিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এর আগে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংয়ের বিরুদ্ধে চিন পরিস্থিতি নিয়ে পরপর তোপ দেগেছেন রাহুল।
রবিশঙ্কর প্রসাদের টুইট
এরপরই রাহুলকে পাল্টা দিতে ময়দানে নামেন লাদাখের বিজেপি সাংসদ জামইয়াং শেরিং নামগয়াল। এরপর রাহুলকে তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও। এদিন রাহুলকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে টুইটারে মন্তব্য করা বন্ধ করুন।'
রাহুলকে যেভাবে শিক্ষা দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ টুইটবার্তায় রাহুলকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, 'রাহুল গান্ধীর জানা উচিৎ যে চিনের মতো আন্তর্জাতিক বিষয়ে এভাবে খোলাখুলি টুইটারে প্রশ্ন তোলা উচিৎ না। এই একই মানুষ, উরি ও বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের সময় প্রমাণ চেয়েছিলেন কেন্দ্রের কাছে।'
রাহুলকে তোপ দাগেন লাদাখের সাংসদও
এদিকে এদিন রাহুল গান্ধীকে একটি টুইটে ট্যাগ করে লাদাখের সাংসদ লেখেন, 'হ্যাঁ চিন ভারতের ভূখণ্ড দখল করেছে। তবে সেটা ছিল ১৯৬২ সালে। আকসাই চিনের ৩৭,২৪৪ বর্গ কিলোমিটার দখল করে চিন। এরপর ইউপিএ জমানায় ২০০৮ সালে ছবি ও প্যাংনাক উপত্যকায় ২৫০ কিলোমিার ঢুকে যায় চিন। ২০১২ সালে কংগ্রেস জমানায় জোরাওয়ার ফোর্ট ধ্বংস করে সেখানে অবজার্ভিং পয়েন্ট বানায় চিন। ২০০৮ সালে ভারত ডুম চেলির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ভারত।'