যারা পেট্রোল কিনতে পারে, তাদের অনাহারে দিন কাটে না, মন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ আমজনতা
যাদের গাড়ি রাখার ক্ষমতা রয়েছে, তাদের নিশ্চই অনাহারে দিন কাটে না, ফলে তাদের দাম দিয়েই পেট্রোল কেনা উচিত, মন্তব্য করলেন সদ্য হওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলফোন্স কান্নানথানাম।
যারা গাড়ি চাপার ক্ষমতা রাখে, তাদের পেট্রোল কেনার ক্ষমতাও নিশ্চই আছে। ফলে দাম বাড়লেও তাদের ওপর বিশেষ কোনও প্রভাব পড়বে না। পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন সদ্য হওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলফোন্স কান্নানথানাম। পেট্রোল- ডিজেল থেকে কর আসে তা সমাজের নিচুস্তরের মানুষের কল্যাণের কাজে লাগানো হবে বলেই মন্তব্য করেছেন পর্যটন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী আলফোন্স।
[অারও পড়ুন: জিএসটি-র অধীনে এলেই পেট্রোলের দাম অর্ধেক হয়ে যাবে, কেন্দ্র কি নেবে এমন সিদ্ধান্ত]
সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, যাদের গাড়ি আছে, তারাই পেট্রোল কেনে। আর যাদের গাড়ি রাখার ক্ষমতা রয়েছে, তাদের নিশ্চই অনাহারে দিন কাটে না। কেরলের এই মন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের নিচুস্তরের মানুষের কল্যাণমূলক কাজের জন্য বিপুল টাকা খরচ হয়। যাদের সামর্থ্য রয়েছে, তাদের কাছ থেকে কর নিয়েই এই খরচ সামাল দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন কান্নানথামাম। তবে পর্যটন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে পেট্রোল- ডিজেলের মূল্য়বৃদ্ধির সাফাই শুনে অনেকেই চমকে উঠেছেন।
উল্লেখ্য, গত দুমাসে পেট্রোলের দাম ৭ টাকারও বেশি বেড়েছে। এই নিয়ে ক্ষোভও জমছে আমজনতার মধ্যে। কিন্তু এই দাম বাড়াকে সাময়িক বলেই ব্যাখ্যা করেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেইসঙ্গে পেট্রোল- ডিজেলকেও জিএসটির আওতায় আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। পেট্রোল- ডিজেলে যদি ১৮ শতাংশ জিএসটিও বসে, তাও পেট্রোলের দাম অনেকটাই নেমে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পেট্রোল- ডিজেলের দাম রোজ ঘোষণা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বলেই জানিয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান।