বাংলা-সহ ৯ রাজ্য সিবিআই-এর সম্মতি প্রত্যাহার করেছে! রাজ্যসভায় জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআইকে(CBI) বিরোধী রাজনৈতিক দলের রাজ্য সরকারগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, এই অভিযোগ করে বাংলা (West Bengal)-সহ একের পর এক সরকার ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের সম্মতি প্রত্যাহার (withdrawn general consent) ক
কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআইকে(CBI) বিরোধী রাজনৈতিক দলের রাজ্য সরকারগুলির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, এই অভিযোগ করে বাংলা (West Bengal)-সহ একের পর এক সরকার ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের সম্মতি প্রত্যাহার (withdrawn general consent) করে নিয়েছে। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং রাজ্যসভায় লিখিত উত্তর দিয়েছেন। সেখানে তিনি নটি রাজ্যের নাম উল্লেখ করেছেন।
|
যে সব রাজ্য সিবিআই-এর সম্মতি প্রত্যাহার করেছে
এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে মিজোরাম। উত্তর পূর্বের এই রাজ্য সম্মতি প্রত্যাহার করেছেন ২০১৫-র ১৭ জুলাই। এরপরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৮-র ১৮ নভেম্বর অনুমতি প্রত্যাহার করেছে। এরপর ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, কেরল, ঝাড়থণ্ড, পঞ্জাব এবং মেঘালয় যথাক্রমে ২০১৯-এর ১০ জানুয়ারি, ২০২০-র ১৯ জুলাই, ২০২০-র ২১ অক্টোবর, ২০২০-র ৪ নভেম্বর, ২০২০-র ৫ নভেম্বর, ২০২০-র ৬ নভেম্বর এবং ২০২২-এর ৯ ফেব্রুয়ারি তাদের সম্মতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
|
কেন রাজ্য সরকারগুলির সম্মতি প্রত্যাহার
সাধারণভাবে সব রাজ্য সরকারই সিবিআইকে তদন্তের সম্মতি দিয়ে থাকে। কিন্তু ২০১৫ থেকে এই পরিস্থিতির বদল ঘটে। রাজ্যগুলি যেসব তাদের সম্মতি প্রত্যাহার করে, সেই সময় সরকারগুলি মূলক বিজেপি বিরোধী সরকার ছিল। রাজ্যগুলির অভিযোগ ছিল বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআইকে ব্যবহার করছে। এই তালিকায় একটা সময়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থাকলেও ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ফের ওই রাজ্যে সিবিআইকে সম্মতি দেওয়া হয়।
সম্মতি প্রত্যাহারে অর্থ
রাজ্যগুলির
সম্মতি
প্রত্যাহারের
অর্থ
হল,
রাজ্য
সরকারের
সম্মতি
ছাড়া
সিবিআই-এর
কোনও
আধিকারিক
রাজ্যের
কোনও
ব্যক্তির
বিরুদ্ধে
কোনও
নতুন
মামলা
নথিভুক্ত
করতে
পারবে
না।
এক
প্রাক্তন
সিবিআই
আধিকারিকের
কথায়,
সিবিআই
কোনও
রাজ্যে
তদন্ত
শুরু
করলে,
সেব্যাপারে
রাজ্যের
পুলিশ
তদন্ত
করার
ক্ষমতা
হারায়।
সাম্প্রতিক
সময়ে
বাংলায়
বেআইনি
কয়লা
খনি
এবং
গরু
পাচারের
মামলায়
কেন্দ্রীয়
তদন্তকারী
সংস্থাকে
তদন্তের
জন্য
অনুমতি
দেয়।
সেই
আদেশকে
চ্যালেঞ্জ
করে
সুপ্রিম
কোর্টে
যায়
রাজ্য
সরকার।
তবে
নতুন
কোনও
মামলার
ক্ষেত্রে
সিবিআই
সাধারণভাবে
হাইকোর্টের
নির্দেশকে
অনুসরণ
করে
থাকে।
সিবিআই নিয়ন্ত্রিত হয় বিশেষ আইনে
প্রসঙ্গত উল্লেখেয সিবিআই-এর কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রিত হয় দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৪৬ দ্বারা। সেই কারণে যদি কোনও রাজ্যের অপরাধের তদন্ত শুরু করতে যায়. তাহলে বাধ্যতামূলকভাবে নির্দিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হয়। সিবিআই-এর প্রতি রাজ্য সরকারের অনুমতি নির্দিষ্ট কেস কিংবা সাধারণ হতে পারে। অন্যদিকে সিবিআই আবার জাতীয় তদন্তাকারী সংস্থার থেকে আলাদা। এনআইএ ২০০৮ সালের আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এনআইএ, সারা দেশেই তদন্তকাজ পরিচালনা করতে পারে কোনও অনুমতি ছাড়াই।
জীবন্ত পোড়ানো আগে ৮ জনকে মারধর! বিধানসভায় রামপুরহাট নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব শুভেন্দু