করোনার নয়া সংস্করণ রুখতে গাইডলাইন জারি জানুয়ারি পর্যন্ত, বাড়তি সতর্কতা কেন্দ্রের
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমছে দেশে। তবু করোনার মহামারীর শঙ্কা সম্পূর্ণ দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক করোনভাইরাস রোগের বিরুদ্ধে নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কতা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমছে দেশে। কমছে সক্রিয়ের সংখ্যাও। তবু করোনার মহামারীর শঙ্কা সম্পূর্ণ দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক করোনভাইরাস রোগের বিরুদ্ধে নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কতা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিল। সোমবার করোনা গাইডলাইন ২০২১-এর জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
করোনা আবার নয়া রূপে হানা দিচ্ছে। কেন্দ্র তাই বাড়তি সতর্ক। লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে সংক্রমণের হার বাড়ছে। এজন্য দায়ী করা হয়েছে যুক্তরাজ্যের করোনাভাইরাস নতুন সংস্করণকে। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনার মূল সংস্করণটির চেয়ে নতুন সংস্করণটি খুব সহজেই সঞ্চারিত হতে পারে।
কয়েকশ লোক যুক্তরাজ্য থেকে ভারতে ফিরে এসেছেন এবং বেশিরভাগ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তও। ফলে সরকারকে নিয়মকানুনকে আরও কঠোর করতে হচ্ছে। দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পেতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় নতুন করে করোনার হানা হোক চাইছে না কেন্দ্র। ফলে করোনা ভাইরাসের নতুন রূপের উত্থানকে রুখতে নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ এবং সতর্কতা বজায় রাখা দরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, কন্টেন্টমেন্ট জোনগুলিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বাড়াতে হবে এবং নির্ধারিত কনটেন্টমেন্ট ব্যবস্থা অবশ্যই এই অঞ্চলগুলির মধ্যে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোভিডে যথাযথ আচরণবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রচার এবং প্রয়োগ করতে হবে। বিভিন্ন অনুমোদিত ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি বা এসওপি অবিচ্ছিন্নভাবে অনুসরণ করা উচিত।