কংগ্রেস বিক্ষোভে রাম মন্দির বিরোধী বার্তা দিতে চেয়েছিল, বিস্ফোরক অমিত শাহ
শুক্রবার কংগ্রেসের দেশব্যাপী বিক্ষোভের তীব্র কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কংগ্রেস মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বের বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখায়। অমিত শাহ অভিযোগ করেন, এই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। কংগ্রেসের এই বিক্ষোভ রাম মন্দির বিরোধী বার্তা পাঠাচ্ছে দেশবাসীকে।
কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'কংগ্রেস ইচ্ছা করে দেশব্যাপী বিক্ষোভের জন্য ৫ আগস্ট বেছে নিয়েছিল। এদিন কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। শুক্রবার বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে কংগ্রেস একটা সূক্ষ বার্তা দিতে চেয়েছিল। কংগ্রেস এই বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে রাম মন্দিরের বিরোধিতা করছেন। ৫৫০ বছরের পুরনো অশান্তির সমাধান আদালতে হয়েছে। এই সমাধানে দেশ জুড়ে কোথাও কোনও উত্তেজনা তৈরি হয়নি। কিন্তু আজকে রামমন্দিরের ভিত্তি স্থাপনের বার্ষিকীতে কংগ্রেস বিক্ষোভের মধ্যে যে বার্তা দিতে চাইছে, তা সকলের কাছে স্পষ্ট।' অমিত শাহ বলেন, 'ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি মামলায় গান্ধী পরিবারের কাউকে নতুন করে ইডি তলব পাঠায়নি। গত কয়েকদিনে কংগ্রেস মূলত, ইডির তলবকে কেন্দ্র করেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তারপরেও কেন কংগ্রেস শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিল।' তিনি মন্তব্য করেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের আইনকে সম্মান জানানো উচিত। ইডির তলবের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রতিবাদ সম্পর্কে অমিত শাহ বলেন, 'আদালতেক নথিভুক্ত বিষয় এগুলো। এর বিরুদ্ধে কংগ্রেস কেন প্রতিদিন বিক্ষোভ করে সেটাই বুঝতে পারি না।'
পাল্টা কংগ্রেসের বক্তব্য
অমিত শাহের অভিযোগকে অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। জানানো হয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে একটা গণতান্ত্রিক বিক্ষোভকে বিমুখ, বিভ্রান্ত ও মেরুকরণের চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, জিএসটির বিরুদ্ধে আজকের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে বিমুখ, বিভ্রান্ত ও মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে। এই বিক্ষোভকে ঘিরে জনগণের মধ্যে বিদ্বেষ তৈরি করার একটা মরিয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র একজন অসুস্থ মনের একজন মানুষই এই ধরনের চেষ্টা করতে পারেন। তিনি প্রতিবাদের ইস্যুগুলো থেকে মানুষের মন ঘোরাতে চেয়েছেন।'
কংগ্রেসের বিক্ষোভ
কংগ্রেস গত এক সপ্তাহ আগে থেকে এই দিন প্রতিবাদ দেখানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল। মূলত জিএসটি, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। বিক্ষোভের সময় কংগ্রেসের নেতারা কালো পোশাক পরেছিলেন। এই বিক্ষোভের অনুমতি দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে পাওয়া যায়নি। তারপরেও কংগ্রেস নেতারা বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ মিছিলটি রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাওয়ার সময় কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলটি থামানোর চেষ্টা করে। পুলিশ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভঢরাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে অনেকেই নিন্দা করেছেন দিল্লি পুলিশের।