সেনা ঘাঁটি হামলা করতে এসে গ্রেফতার পাক জঙ্গি, জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা ইস্যুতে অমিত শাহের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক
সেনা ঘাঁটি হামলা করতে এসে গ্রেফতার পাক জঙ্গি, জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা ইস্যুতে অমিত শাহের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক
জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা চলতি বছর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে তাঁর নর্থব্লকের অফিসে একটি উচ্চপর্যায়ে বৈঠক করেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, সেনা প্রধান মনোজ পাণ্ডে, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, সিআরপিএফের ডিরেক্টর কুলদীপ সিং বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় সেনবাহিনী এক জঙ্গিকে আটক করে। ভারতে হামলা চালানোর জন্য তাকে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাকিস্তান দিয়েছে বলে অভিযোগ। তারপরে এই বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ।
সীমান্ত থেকে গ্রেফতার জঙ্গি
জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। রাজৌরি থেকে এক জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর জন্য ওই জঙ্গিকে পাকিস্তানের এক কর্নেল ৩০,০০০ টাকা দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তাবরাক হুসেন নামের ওই জঙ্গিকে নওশেরা সেক্টরে গ্রেফতার করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলির সবজকোট গ্রামের বাসিন্দা। সেনাবাহিনীর ৪০ কমান্ডার ও ব্রিগেডিয়ার কপিল রানা ২১ অগস্ট এলওসি থেকে দুই থেকে তিন জন জঙ্গির কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছিল। এক জঙ্গি ভারতীয় সীমান্তের খুব কাছে চলে আসে এবং কাঁটাতার কেটে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে। সেই সময় সেনাবাহিনী সতর্ক করলে ওই জঙ্গি পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সেনাবাহিনীর গুলিতে ওই জঙ্গি আহত হয়। সেনাবাহিনী সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ওই জঙ্গি ভারতের সেনাঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। এর বিনিময়ে পাকিস্তানের এক কর্নেল তাদের ৩০,০০০ হাজার টাকা দেন বলে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি জানিয়েছে।
পাক সেনাবাহিনীর মেজর প্রশিক্ষণ দেন জঙ্গিকে!
সেনবাহিনীর গুলিতে গুরুতর জখম হয় ওই জঙ্গি। সেনা হাসপাতালে চিকিৎসার হয়। রক্তের প্রয়োজনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওই জঙ্গিকে সাহায্য দেয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাবাদে ওই জঙ্গি জানিয়েছে, সঙ্গীদের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে সে ধরা পড়ে। ওই জঙ্গি জানিয়েছে, 'পাকিস্তানে আমি ছয় মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছি। লস্কর-ই-তইবা এবং জইশ ই মহম্মদের বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে আমার প্রশিক্ষণ হয়। এই ক্যাম্পগুলো মূলত পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পরিচালনা করে। হুসেন স্বীকার করেছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি ক্যাম্পে হামলা চালানোর জন্য আগাম খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছিল। তারপরেই পাকিস্তানের কর্নেল চৌধুরী তাকে হামলার অনুমতি দিয়েছিল। এই কারণে তাকে ৩০,০০০ টাকা দেওয়া হয়। হুসেন জানিয়েছে, পাক গোয়েন্দা সংস্থার এক আধিকারিক কর্নেল ইউসুফ চৌধুরী তাকে ভারতে হামলার নির্দেশ দিয়েছিল। পাক সেনাবাহিনীর মেজর রজাক তাকে প্রশিক্ষণ দেয় বলে ওই জঙ্গি জানিয়েছে।