কৃষক আন্দোলনে পিছু হটল সরকার! কৃষি আইন নিয়ে আলোচনার ডাক সংগঠনকে
কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হাজার হাজার কৃষক শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে হাজির হলেন। হরিয়ানা, পঞ্জাব-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে রাজধানী অভিমুখে আসা কৃষকদের আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে উত্তর দিল্লির বুরারিতে আন্দোলনকারী জনতার বিরুদ্ধে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে। পুলিশ ও কৃষকদের মধ্যে তিনদিনের লড়াইয়ের পরে কেন্দ্র সরকার আলোচনায় বসতে রাজি হল।

দিল্লিগামী মহাসড়ক ধরে কৃষকরা রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তাঁরা এগিয়ে যেতে থাকে। ফলে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের নির্দেশ মানতে অস্বীকার করায় পুলিশ কৃষকদের বিরুদ্ধে সিংহু সীমান্তে টিয়ার গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করেছিল। কিছু জায়গায় কয়েকজন প্রতিবাদকারীকে পাথর ছুঁড়তেও দেখা গেছে।
কৃষকরা দিল্লি-হরিয়ানা মহাসড়ক ধরে বিভিন্ন স্থানে পুলিশদের দেওয়া অবরোধ সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কয়েক ঘন্টা নাটকের পর কিছুটা উত্তেজনা হ্রাস পেয়েছিল সন্ধ্যায়। পুলিশ যখন ঘোষণা করেছিল যে কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে, কৃষকরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য দিল্লির উপকণ্ঠে একটি বড় জায়গা নির্ধারণ করেছিল।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেন যে, কেন্দ্র কৃষকদের কথা শোনার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। ৩ ডিসেম্বর কৃষকদের অভিযোগগুলি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সরকার সবসময় কৃষকদের সাথে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ৩ রা ডিসেম্বর কৃষকদের সংগঠনগুলিকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
বিক্ষোভের মধ্যে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে বিশ্বের কোনও সরকার কৃষকদের 'সত্যের লড়াই' থামাতে পারে না। মোদী সরকারকে কৃষকদের দাবির সঙ্গে একমত হতে হবে এবং কালো আইনগুলি ফিরিয়ে নিতে হবে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং কৃষকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।