করোনা মোকাবিলায় ১৫,০০০ কোটির আর্থিক প্যাকেজে সিলমোহর মন্ত্রী পরিষদের
করোনা মোকাবিলায় ১৫,০০০ কোটির আর্থিক প্যাকেজে সিলমোহর মন্ত্রী পরিষদের
ভারতে জরুরি ভিত্তিতে করোনা মোকাবিলা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিকাঠামোর উন্নয়নে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদ সিলমোহর দিল ১৫,০০০ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজে। বুধবার এমনটাই জানা গেল সরকারি সূত্রে। প্রায় ৭৭৭৪ কোটি টাকা এখনই জরুরি ভিত্তিতে ও বাকি অর্থ আগামী ১ থেকে ৪ বছরের সময়ে কাজে লাগানোর কথা জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
আর্থিক প্যাকেজের জেরে কি কি সুবিধা হবে?
উক্ত আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার কারণ হল ভারতে করোনার আগ্রাসন রুখে দেওয়া। মূলত করোনা সংক্রান্ত উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, উন্নতমানের ওষুধ, করোনা প্রতিষেধকের গবেষণার মত কাজে লাগানো হবে এই অর্থ। এছাড়াও ভবিষ্যতে মহামারীর প্রাদুর্ভাবকে মাথায় রেখে গবেষণাগার নির্মাণ, মহামারী গবেষণা ও গোষ্ঠী সংক্রমণের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির জন্যেও এই প্যাকেজ বরাদ্দ হয়েছে।
আর্থিক প্যাকেজ কাজে লাগানো হবে তিন ধাপে
ভারতের জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে এই আর্থিক প্যাকেজ মূলত তিনটি ধাপে স্বাস্থ্যব্যবস্থার সার্বিক উন্নতিতে কাজে লাগানো হবে, এমনটাই খবর সূত্রের। ফেজ-১-এর আওতায় ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ৩০০০কোটি টাকা করোনা সংক্রান্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে আর্থিক সাহায্য, কোয়ারানটাইন ও আইসোলেশনের নিয়মাবলী রক্ষা, চিকিৎসার উন্নতি প্রভৃতি খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও হটস্পট বলে চিহ্নিত অঞ্চলগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজেও এই অর্থ ব্যবহৃত হবে বলে খবর।
আর্থিক প্যাকেজের অধিকাংশ ব্যবহৃত হবে কোন কোন খাতে?
আর্থিক প্যাকেজের মাধ্যমে প্যাথলজি ল্যাবরেটরির থেকে 'আশা', সমস্তরকমের স্বাস্থ্যকর্মীকে এক ছাতার তলায় এনে চিকিৎসাব্যবস্থাকে সুরক্ষিত করার চিন্তা চলছে। এছাড়াও আপদকালীন পরিস্থিতিতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য-পরিকাঠামোর উন্নয়ন, মহামারী সংক্রান্ত গবেষণা, গোষ্ঠী সংক্রমণ ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিভাগকে সুরক্ষিত করার জন্যেও এই অর্থের ব্যবহার হবে বলে জানা গেছে।