কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০ : কাশ্মীরি কবিতা পাঠ করে সরকারের অবস্থান বোঝালেন অর্থমন্ত্রী সীতারমন
২০২০-২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট পেশের আগে তিনি মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন তাঁর বক্তব্যে। সেই সময় কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাবারকে সরকারের বড় পদক্ষেপ বোঝাতে কাশ্মীরি ভাষায় একটি কবিতা পড়েন অর্থমন্ত্রী। কবিতাটি পড়ে অর্থমন্ত্রী যেন কাশ্মীর নিয়ে সরকারের অবস্থান বোঝালেন।
মোদী সরকারের কাজের খতিয়ান
অর্থমন্ত্রী বলেন, '২০১৯ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও সরকার গঠনের জন্য বিশাল জনাদেশ পেয়েছিলেন। নতুন উদ্দমের সাথে তাঁর নেতৃত্বে আমরা জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের জনগণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যেই নয় বরং আমাদের অর্থনৈতিক নীতির প্রতি বিশ্বাসের ফলেই আমাদের বেছে নিয়েছে।'
|
কাশ্মীরি ভাষায় একটি কবিতা পাঠ
এরপর পণ্ডিত দীননাথ করের লেখা কাশ্মীরি ভাষায় একটি কবিতা পাঠ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ কবিতাটির মানে, আমাদের দেশ একটা ফুলের বাগানের মতো৷ আমাদের দেশ ডাল লেকে পদ্ম ফুল যেমন ফোটে সেরকম৷ যুবকদের গরম রক্তের মতো৷ আমার দেশ, তোমার দেশ, আমাদের সবার দেশ পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর দেশ৷ এরপরেই বিজেপি সাংসদরা অর্থমন্ত্রীর কবিতা পাঠের প্রশংসায় করতালিতে সংসদ ভবন ভরিয়ে দেন।
কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিনলেন রাষ্ট্রপতিও
শুক্রবার বাজেট অধিবেশন শুরু করতে রাষ্ট্রপতি যেই ভাষণ রেখেছিলেন তাতেও কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তিনি। গত অধিবেশনে সংসদে পাশ হওয়া সিএএ নিয়ে এদিন বলতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, 'সংসদের উভয় কক্ষে দ্বি-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সংবিধানের ৩৭এ ধারা এবং ৩৭০ ধারা দুটি বাতিল করা কেবল ঐতিহাসিকই নয়, বরং এটি জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের সমান বিকাশের পথও সুগম করেছে। এখন জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের লোকেরা সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। সাত দশক পর জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্নপূরণ হয়েছে।'
জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে বলেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, 'আমাদের সংবিধান এই সংসদ এবং এই সভায় উপস্থিত প্রতিটি সদস্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে যে দেশবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণ করবে। এবং জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় আইন তৈরি করবে। এই দশকটি দেশের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত ৭ মাসে সংসদ কাজের ক্ষেত্রে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।'