কৃষকমুখী বাজেট হতে চলেছে? সরকারের নতুন চিন্তা ভাবনায় জল্পনা
আসন্ন বাজেট নিয়ে মানুষের মনে কৌতুহল তুঙ্গে। এরই মাঝে প্রয়োজনীয় পণ্য আইনের অন্তর্গত দণ্ডিত বিধান বাতিল করার বিষয়ে বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটা এই কারণেই ভাবা হচ্ছে যাতে ব্যবসায়ীরা চাষীদের থেকে সরাসরি যত খুশি তত পণ্য কিনতে পারেন। বর্তমানে এই আইনের জেরে চাষীদের থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে মাত্রা ধার্য করা রয়েছে। এই আইনের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনার থেকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে এই বারের বাজেটটি হবে কৃষিমুখী।
একেই কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে বিজেপি। কয়েকদিন আগেই কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো। নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালে কৃষী ক্ষেত্রে কর্মরত মোট ১০, ৩৪৯ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। এর আগে দীর্ঘ তিন বছর পর গতবছর ২০১৬ সালের তথ্য প্রকাশ করেছিল এনসিআরবি। সেই সংখ্যা থেকে ২০১৮ সালের আত্মহত্যার সংখ্যা কমলেও তা আশঙ্কাজনক পর্যায়তেই রয়ে গিয়েছে। দেশে মোট আত্মহত্যার ঘটনার এটি ৭.৭ শতাংশ।
রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী কৃষক আত্মহত্যার নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। তখন মহারাষ্ট্রে ছিল বিজেপি সরকার। দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিলনাড়ু। এর আগে গতবছর বর্ষাকালীন অধিবেশনে সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে ২০১৬ সালে ১১,৩৭০ জন কৃষক আত্মহত্যা করেন। তবে তারা জানিয়েছিল এনসিআরবি রিপোর্ট তখনও প্রকাশিত না-হওয়ায়, এই তথ্য চূড়ান্ত নয়। এদিকে ২০১৮ সালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে মোট ১,৩৪,৫১৬টি। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে আত্মহত্যা করেছে ১৭,৯৭২ জন। তামিলনাড়ুতে সেই সংখ্যা ৩১,৮৯৬ ও পশ্চিমবঙ্গে সেটি ১৩,২৫৫।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে ভারতকে পৌঁছাতে হলে উৎপাদন শিল্পে অগ্রগতির পাশাপাশি কৃষকদের আয়ও দ্বিগুণ করতে হবে। কিন্তু সেই পথে দেশের অর্থনীতিকে আপাতত নিয়ে যেতে ব্যর্থ হচ্ছে কেন্দ্র। যদিও এই বিষয়টি করে দেখিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের আয় গত কয়েক বছরে বেড়েছে দ্বিগুণ।