'বাজেট' ঘোষণার আগে অর্থমন্ত্রকে রীতিমেনে খাওয়া হয় 'হালুয়া'! কিছু অজানা তথ্য
মাঝে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই ২০১৯ সালের বাজেট পেশ হতে চলেছে। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা মোদী সরকারের কাছে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ এইবারের বাজেট।
মাঝে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই ২০১৯ সালের বাজেট পেশ হতে চলেছে। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা মোদী সরকারের কাছে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ এইবারের বাজেট। প্রথমবার অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়ে নির্মলা সীতারমন কোন চমক দিতে চলেছেন, তা নিয়ে রয়েছে একাধিক কৌতূহল। তবে তার আগে জেনে নেওয়া যাক, 'বাজেট' এর নথি যেখানে রাখা হয় ,সেই এলাকা ঘিরে নিরাপত্তা কোনস্তরে থাকে।
কড়া বলয়
বাজেট যখন থেকে তৈরি হয়, আর বাজেট প্রকাশ হওয়ার মাঝের সময়টায় ব্যাপক নিরাপত্তার কাড়াকড়ি শুরু হয় অর্থমন্ত্রকে। এরপর বাজেট তৈরি হয়ে গেলে, অর্থমন্ত্রককে নজরবন্দি করে ফেলেন গোয়েন্দারা। কারা ভিতরে যাচ্ছেন আসছেন তা নিয়ে কিছু বিধি নিষেধ থাকে। বাজেট তৈরি হওয়ার সময়ও গোয়েন্দাজের কড়া নজর থাকে। এবছরের বাজেটের জন্য এই বিধি চালু হয়েছে ৩ রা জুন থেকে।
ব্লু শিট
বাজেটের গণনার জন্য যে সংখ্যাগুলি প্রয়োজন হয়, তা লেখা থাকে একটি ব্লুশিটে। এই ব্লুশিটে প্রতিবারের সংখ্যা লেখা থাকে। এটা প্রতিবারের বাজেটের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। অর্থমন্ত্রকের যুগ্ম সচিবকে তারপর এই শিটটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই শিট অর্থমন্ত্রীও মন্ত্রকের বাইরে নিয়ে যেতে পারেননা নিয়ম মতো।
হালুয়া অনুষ্ঠান!
রীতি মেনে বাজেট সেশনের আগে বাজেট তৈরি হয়ে গেলে অর্থমন্ত্রকে পালিত হয় হালুয়া অনুষ্ঠান। সেখানে হালুয়া রান্না করে , তা সমস্ত অর্থমন্ত্রক্রে কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এমনকি অর্থমন্ত্রী নিজেও এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রিন্টিং পদ্ধতি
এরপর প্রিন্টে চলে যায় বাজেট। নর্থব্লকের বেসমেন্টে চলে বাজেটের প্রিন্টিং এর কাজ। যাঁরা প্রিন্টের কাজে থাকেন,তাঁরা কোনওভাবেই ফোনে বা ইন্টারনেটে কারোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না। এই সময়ে অর্থমন্ত্রকের বিভিন্ন কম্পিউটারে মেলিং, বিভিন্ন ফোনের সংযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়।