নতুন বছরের প্রথমদিনে ভারতে ৬০ হাজার শিশু জন্ম নেবে, দাবি ইউনিসেফের
নতুন বছরের নতুন দিনে একগুচ্ছ নতুন ফুল ফুটবে গোটা বিশ্ব জুড়ে। নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে এই করোনা মহামারি আবহে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি ৬০ হাজার শিশু জন্মাবে শুধু ভারতেই। আর গোটা পৃথিবীতে ৩.৭ কোটি শিশু জন্মাতে চলেছে শুক্রবার। ইউনিসেফ বিভিন্ন দেশে জন্মের মাসিক এবং দৈনিক ভগ্নাংশের মূল্যায়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ এবং জাতীয় প্রতিনিধির গৃহস্থালির সমীক্ষার তথ্য ব্যবহার করেছে।

ইউনিসেফ এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ থেকে গর্ভবতী মহিলাদের ও হাসপাতালের তথ্য সংগ্রহ করেছে। বিশ্বজুড়ে অর্ধেকের বেশি শিশু ভারত (৫৯,৯৯৫) সহ ১০টি দেশে জন্মাবে। চিনে সম্ভবত ৩৫,৬১৫টি শিশু জন্মাবে। এরপর সম্ভাবনাময় দেশগুলি হল নাইজেরিয়া (২১,৪৩৯) এবং পাকিস্তান (১৪,১৬১) এবং অন্যান্য দেশগুলি হল ইন্দোনেশিয়া (১২,৩৩৬), ইথিওপিয়া (১২,০০৬), আমেরিকা (১০,৩১২), ইজিপ্ট (৯,৪৫৫), বাংলাদেশ (৯,২৩৬) এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলক অফ কঙ্গো (৮,৬৪০), এই দেশগলিতে সবচেয়ে বেশি শিশু জন্মাবে।
ইউনিসেফ ভারতের প্রধান ডাঃ যশমিন আলি হক কোভিড–১৯ মহামারির সময় ভারত যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল তা স্বীকৃতি দিয়ে বলেছিলেন, 'শিশুদের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে এই মহামারিটি রোধ ও এর গুরুত্ব বুঝতে হবে। আমরা যদি তা করতে পারি তবে অবশ্যই শিশুদের জন্য দারুণ বিশ্ব গড়ে তুলতে পারব। শুধু সঙ্কটের সময়ই নয়, এই মহামারি থেকে শিখেছ যে পদ্ধতি ও নীতিমালা মানুষকে সবসময়ের জন্য রক্ষা করতে পারে।’ এর সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন যে প্রত্যেক দিন হাজার শিশু বেঁচে থকে শুধুমাত্র ভারতের সদ্যোজাত অ্যাকশন প্ল্যান ২০১৪–২০২০ অন্তর্গত প্রচেষ্টার কারণে। লক্ষাধিক নবজাতক বিশেষ যত্নের সঙ্গে ৩২০টি জেলা স্তরের বিশেষ সদ্যোজাত কেআর ইউনিটের জন্য বেঁচে রয়েছে। শৈশবব বিকাশের জন্য ভারত সরকার প্রতিরোধযোগ্য নবজাতকের মৃত্যুর অবসান ঘটাতে এবং পরিষেবা এবং ব্যবস্থা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্নির্মাণ করেছে। ২০২১ সালে মোট ১৪ কোটি শিশু গোটা বিশ্ব জুড়ে জন্মাতে চলেছে। এইসব শিশুদের গড় আয়ু সম্ভবত ৮৪ বছর বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ

শুভেন্দুর বাড়িতে ফুটল পদ্মফুল, ভাই সৌমেন্দু দলবল নিয়ে শূন্য করলেন তৃণমূল