সিএএ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে রাষ্ট্রসংঘ! কড়া জবাব বিদেশমন্ত্রকের
সিএএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে কড়া ভাষায় জবাব দিল ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে জানানো হয়, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এবং কোনও বিদেশি সংগঠনের এই ইস্যুতে ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।

রাষ্ট্রসংঘকে কড়া বার্তা ভারতের
এক বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রক বলে, 'সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ভারতের সংসদের আইন প্রণয়নের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, কোনও বিদেশি সংগঠনের ভারতের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছি সিএএ সাংবিধানিক ভাবে বৈধ এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধকে মাথায় রেখেই এটি আনা হয়েছে।'

সিএএ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের উদ্বেগ
এর আগে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল সুপ্রিমকোর্টে এক আর্জি জানিয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রসংঘের মানবিধার কাউন্সিলকে সিএএ-র বিরুদ্ধে মামলায় একটি পক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হোক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশমন্ত্রকের এই কড়া জবাব। প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে সংসদে পাস হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। তারপর থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। সংসদে ওই আইন পাস হওয়ার পরই রাষ্ট্রসঙ্ঘ তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছিল, এই আইন মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক প্রকৃতির।

সিএএ নিয়ে কী বলছে রাষ্ট্রসংঘ?
এদিকে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেন, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের এই সংশোধন দেশের মানুষের জাতীয়তায় বৈষম্যমূলক প্রভাব ফেলবে। তাঁর দাবি, সমস্ত অনুপ্রবেশকারীরই সুরক্ষা, সম্মান ও মানবিক আধিকার পূর্ণ হওয়ার অধিকার রয়েছে।

সিএএ ঘইরে উত্তপ্ত দিল্লি, মৃত অন্তত ৪০
প্রসঙ্গত, এই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত ধর্মীয় নিপীড়ের শিকার অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। দিল্লিতে এই সিএএকে ঘিরেই বেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় যাতে প্রাণ হারান অন্তত ৪০।