ভারতের প্রথম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটির স্বীকৃতি পেল এই শহর
আমেদাবাদকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শহর ঘোষণা করল ইউনেসকো, ভারতের প্রথম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটি হল আমেদাবাদ, আমেদাবাদের মনোনয়নকে সমর্থন আরও কুড়িটি রাষ্ট্রের
প্যারিস, রোম, ভিয়েনা, কায়রো, এডিনবার্গের সঙ্গে একই সারিতে চলে এল আমেদাবাদের নামও। শনিবারই ৬০০ বছরের পুরনো এই শহরটি ইউনেসকো-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটির তকমা পেয়েছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটির দৌড়ে ছিল রাজধানী দিল্লি ও বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বইও।
শনিবার পোল্যান্ডের কারলো শহরে ইউনেসকো-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপরই ইউনেসকো-র হেরিটেজ কমিটিতে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ টুইট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। হেরিটেজ সিটির দৌড়ে আমেদাবাদের মনোনয়নকে সমর্থন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, পোল্যান্ড, তুরস্ক সহ মোট কুড়িটি রাষ্ট্র।
২০১০ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই ইউনেসকো-র কাছে আমেদাবাদের ডসিয়ার পাঠান নরেন্দ্র মোদী। গোটা বিশ্বে ২৮৭টি হেরিটেজ সিটি থাকলেও ভারতীয় উপমহাদেশে এতদিন পর্যন্ত নেপালের ভক্তাপুর ও শ্রীলঙ্কার গাল শহরই এই তকমা পেয়েছিল। আমেদাবাদ ভারতীয় উপমহাদেশে তৃতীয় ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটি হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
ঐতিহাসিক আমেদাবাদ শহরে পঁচিশটি প্রাচীন স্থাপত্য রয়েছে যার রক্ষণাবেক্ষণ করে এএসআই বা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এছাড়াও রয়েছে শতাধিক 'পোল' যেখানে রয়েছে এক-একটি সম্প্রদায়ের বাস। তাছাড়া গোটা শহরজুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি। ১৯১৫ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এই শহরেই থাকতেন জাতির জনক।
আমেদাবাদ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সিটির স্বীকৃতি পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও।