২৭ মাসে সর্বোচ্চ সীমায় বেকারের সংখ্যা! আশঙ্কার দোলাচলে নবীন প্রজন্ম
সামনে এল এক নয়া রিপোর্ট যা মোদী সরকারের কপালে ভাঁজ ফেলতে বাধ্য।
কর্মসংস্থানের খাঁড়া যে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ঘাড়ে ঝুলে রয়েছে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকসভা ভোটের প্রচারে বিরোধীরা বারবার এই ইস্যুতে সরব হতে চলেছে। তার আগে সামনে এল এক নয়া রিপোর্ট যা মোদী সরকারের কপালে ভাঁজ ফেলতে বাধ্য। বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বেকারত্বের সংখ্যা গত ২৭ মাসে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছে। বেড়েছে ৭.৩৮ শতাংশ হারে। যার ফলে গত ১২ মাসের হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে ১.০৯ কোটি চাকুরিজীবীর সংখ্যা কমেছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ৪০.৭৮ কোটি। তা ২০১৮ সালে কমে তা হয়েছে ৩৯.৬৯ কোটি।
আশঙ্কার রিপোর্ট
আনএমপ্লয়মেন্ট রেট ইন ইন্ডিয়া শীর্ষক রিপোর্টকে সামনে রেখে সিএমআইই ডেটাবেস একথা জানিয়েছে। শুধু বেকারত্ব বাড়াই নয়, তথ্য বলছে শ্রমিকদের উৎসাহ ও যোগদানও আগের চেয়ে কমে গিয়েছে।
বেকারের হার সর্বোচ্চ
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বেকারের সংখ্যা ৪.৭৮ শতাংশ ছিল। নভেম্বর ২০১৮ সালে তা ছিল ৬.৬২ শতাংশ। তবে ডিসেম্বরে তা বেড়ে ৭.৩৮ শতাংশে এসে ঠেকেছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই বেকারত্বের হারই ৮.৪৬ শতাংশ ছিল।
কর্মহীন বহু
গত ১২ মাসে ১.০৯ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। তার মধ্যে ৮৩ শতাংশ বা ৯১.৪ লক্ষ মানুষ গ্রামীণ এলাকায় কর্মহীন হয়েছেন। যে রিপোর্ট কেন্দ্রকে ভাবাতে বাধ্য করবে।
গ্রামে বড় ধাক্কা
২০১৭ সালে গ্রামীণ এলাকায় ২৬.৯৪ কোটি মানুষ কর্মরত ছিলেন। তা ২০১৮ সালে কমে ২৬.০৩ কোটিতে এসে ঠেকেছে। শহুরে এলাকায় গত একবছরে তার আগের তুলনায় ১৭.৯ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন।