জানুয়ারি থেকে জুন দেশে ট্টেন জ্বালানোর ঘটনার যোগসূত্র সেই বেকারত্বই
জানুয়ারি থেকে জুন দেশে ট্টেন জ্বালানোর ঘটনার যোগসূত্র সেই বেকারত্বই
জানুয়ারি থেকে জুন চেষ ছ'মাসে ভারতে দু'বার ট্রেন জ্বালানোর ঘটনা ঘটল! কি রয়েছে এর নেপথ্যে? জানুয়ারি মাসে রেলের চাকরির পরীক্ষার নিয়মের বিরোধিতা করে বিহারে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীরা। চলতি মাসে কেন্দ্র সরকারের 'অগ্নিপথ' প্রকল্পের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করার ঘোষণার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। বিহার থেকে তেলেঙ্গায় বিক্ষোভকারীরা ট্রেন ভাঙচুর এবং ট্রেনের কামরায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে৷ গত জানুয়ারিতে বিক্ষুব্ধ চাকরীপ্রার্থীদের ট্রেনে আগুন লাগানো আর চলতি জুন মাডেও চাকরিপ্রার্থীদের দ্বারাই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে কি কোনও যোগসূত্র রয়েছে?
বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে বেকারত্ব, বলছেন বিশেষজ্ঞরা!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন শেষ ছ'মাসে দেশে চাকরিপ্রার্থীদের দ্বারা দু'বার ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় পিছনে রয়েছে একটাই জিনিস, দেশের বেড়ে যাওয়া বেকারত্ত্ব! তা থেকে তৈরি হওয়া যুবদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তা এবং হতাশায় তাদের দিয়ে এরকম ভুল কাজ করিয়ে নিচ্ছে বলেও বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ আগুনে ট্রেন পুড়িয়ে যুবকরা রাস্তায় স্লোগান দিচ্ছে এবং প্রতিবাদ করছে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আশঙ্কিত করছে অনেককেই৷
অগ্নিপথের ঘোষণার পর নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়েছে!
গত জানুয়ারি মাসে রেলওয়ে নিয়োগে স্থগিতাদেশের ফলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে চাকরিপ্রার্থীরা ট্রেনের কোচ পোড়ালে সে সময় সারা দেশে অনেকেই তার প্রতিবাদ করেছিল৷ এবার, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মাত্র চার বছরের জন্য সৈন্য নিয়োগের মোদি সরকারের নতুন প্রকল্প 'অগ্নিপথ'-এর ঘোষণার পরই নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে৷ চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পদন্নোতি, স্বাস্থ্য সুবিধা বা পেনশন ছাড়াই তরুণদের সেনাতে নিয়োগের বিরোধিতা করছেন চাকরিপ্রার্থীদের বড় অংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে জানুয়ারী এবং জুনের বিক্ষোভের মূলে রয়েছে একটি সাধারণ যোগসূত্র যা যুবকদের হতাশার দিকে চালিত করছে, সেটি হল দেশে চাকরির অভাব।
কাজ না পাওয়া থেকে হতাশা, বলছে পরিসংখ্যান!
বড় অংশের ভারতীয়রা কাজ না পেয়ে হতাশ৷ মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারী গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০১৭ এবং ২০২২ এর মধ্যে, সামগ্রিক শ্রম অংশগ্রহণের হার ৪৬ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে। মহিলাদের মধ্যে এই পরিসংখ্যান আরও খারাপ৷ ২১ মিলিয়ন মহিলারা কাজের থেকে দূরে সরে গিয়েছেন৷ যোগ্য জনসংখ্যার মাত্র ৯ শতাংশ এখনও চাকরির জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছে৷
প্রতিবাদের আগুনে পুড়ছে রেল, ব্যাপক প্রভাব দেশজুড়ে! এক নজরে বাতিল ট্রেনের তালিকা-