গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণে মোদী সরকার ! প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ শেষ নির্দিষ্ট সময়েই আগেই
২০১৫-র ১৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ১০০০ দিনের মধ্যে দেশের প্রত্যেক গ্রাম আলোকিত করা হবে। ২০১৮-র ২৮ এপ্রিল মনিপুরের ছোট্টগ্রাম লিসাং-এর বৈদ্যুতিকরণের মাধ্যমে ১০০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ শেষ হয়েছে ৯৮৮ দিনের মধ্যে।

ক্ষমতায় আসার পর যেসব বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তার মধ্যে ছিল গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণ প্রকল্পও। ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি তাঁকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্যও করেছিল। ২০১৪-র ভোটের আগে মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, উন্নয়নের সঙ্গে দুর্নীতি মুক্ত সরকার।
২৯ এপ্রিল মোদী টুইট করে জানিয়েছিলেন, দিনটি দেশের উন্নয়নে ঐতিহাসিক দিন হিসেবে উল্লিখিত হবে। মোদী টুইটে বলেন, গতকাল প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়েছে। যা বহু ভারতবাসীর জীবনে চিরতরের জন্য পরিবর্তন এনেছে। তিনি এতটাই আনন্দিত এটা ঘোষণা করতে পেরে, ভারতের প্রতিটি গ্রামেই বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে।
ভারতের স্বাধীনতার সময়ে প্রায় ১৫০০ টি গ্রামে বিদ্যুত পৌঁছেছিল। ১৯৯১ সাল নাগাদ সংখ্যাটা পৌঁছয় ৪৮১,১২৪-এ। বিদ্যুৎমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫৯৭,৪৬৪ টি গ্রামের প্রতিটিতেই বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে।
যদিও এর অর্থ এই নয় যে প্রত্যেক ঘরেই বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি গ্রামের বৈদ্যুতিকরণের সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়, যখন সেই গ্রামের ১০ শতাংশ বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছয়। এরসঙ্গে স্কুল, পঞ্চায়েত অফিস স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কমিউনিটি সেন্টারেও বিদ্যাৎ পৌঁছতে হবে। যদিও তার পরেও গ্রামের ১০০ শতাংশ বিদ্যুদায়িত, তা বলা যাবে না।
গ্রামীণ বৈদ্যুতিকরণ থেকে শুরু করে, দেশকে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সম্পন্ন দেশ হিসেবে পরিণত করা, বিজেপি সরকারের অধীনে বিদ্যুৎমন্ত্রক দেশকে আলোকিতই করেছে। এক্ষেত্রে এটা বলা যেতেই পারে, মোদী সরকারের যেসব মন্ত্রক ভাল কাজ করেছে, তাদের মধ্যে একেবারে ওপরের দিকে রয়েছে বিদ্যুৎমন্ত্রক।
বিজেপি সরকারের অধীনে, প্রথমবারের জন্য দেশ উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সম্পন্ন দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথম। এটা সম্ভব হয়েছে, বিদ্যুৎমন্ত্রকের বিভিন্ন দফতর, কয়লা মন্ত্রক এবং পুনর্নবিকরণ মন্ত্রকের মধ্যে ভাল যোগাযোগের কারণে।