ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভারত সফর চলাকালীন কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে সরব জাতি সংঘ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভারত সফর চলাকালীন কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে সরব জাতি সংঘ
কাশ্মীরের সামগ্রিক অবস্থা পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৩ সদস্যের একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল যে ২৯শে অক্টোবর ভারত সফরে আসতে চলেছে সে কথা আগেই জানা গিয়েছিল। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের উপত্যকা পরিদর্শনের সময়েই কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যুতে ভারতকে সতর্কবাণী শোনাতে দেখা গেল জাতি সংঘকে।
জাতি সংঘের জেনেভা টুইটার হ্যান্ডল থেকে মঙ্গলবার একটি টুইট করে লেখা হয়, 'ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে যে ভাবে একের পর এক ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে সেই বিষয়ে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। যত দ্রুত সম্ভব কাশ্মীরে দ্রুত শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে সাধারণ মানুষের মানবাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা ভারত সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
পাশাপাশি এতদিন কাশ্মীর সমস্যাকে ভারতের 'অভ্যন্তরীণ ইস্যু’ তকমা দিয়ে নয়া দিল্লী সর্বদাই তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে গিয়েছে। এর আগেও একাধিকবার কাশ্মীর ইস্যুতে জাতি সংঘ ভারতকে সতর্ক করলেও তা ভারতের কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য ছিল না। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যখন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মঞ্চে পাকিস্তান কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তোলা তখন তা সুকৌশলে এড়িয়ে যান ভারতের কূটনীতিবিদেরা।
এদিকে মঙ্গলবার দুপরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই বিশেষ প্রতিনিধি দলের উপত্যকা পরিদর্শন কালে মধ্যাহ্নভোজনের সময় কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন জাতী নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। সূত্রের খবর, শ্রীনগর ও রাজ্যের অন্যান্য অংশে এখনও পর্যন্ত কয়েকটি সংঘর্ষে চার জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয় জাতীয় নিরাপত্তা মণ্ডলীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তরফ থেকে। পাশাপাশি শ্রীনগরের কমপক্ষে পাঁচটি জায়গায় অবরোধ এবং সংঘর্ষের জেরে বেশ কিছু দোকানপাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রয়েছে বলেও ইউ সদস্যদের জানানো হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাশ্মীর সফরের আগেই প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়, ' ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের এই সফর তাদের জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষদের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বৈচিত্র্য অনুধাবনে বিশেষ সুযোগ করে দেবে বলেই আশা করা যায়। যার ফলে তারা উপত্যকার উন্নয়ন এবং সরকারী অনুশাসন সম্পর্কেও একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করতে পারবেন।’
এই প্রসঙ্গে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ৫ই আগস্ট ৩৭০ ও ৩৫এ ধারার বিলোপের পর এটাই প্রথম উচ্চ পর্যায়ের কোনও বিদেশী প্রতিনিধি দলের কাশ্মীর সফর। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধি দলের এই কাশ্মীর সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী।