পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, লাফিয়ে বাড়ছে ভারতে সমুদ্রের জলস্তর, উদ্বেগ প্রকাশ রাষ্ট্রপুঞ্জের
ভয়ঙ্কর ভাবে বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। তাতে সবচেয়ে বেশি বিপদ বাড়ছে ভারতের। এমনই উদ্বেগের কথা শোনালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়াত্রেস।
ভয়ঙ্কর ভাবে বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। তাতে সবচেয়ে বেশি বিপদ বাড়ছে ভারতের। এমনই উদ্বেগের কথা শোনালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ব্যাঙ্ককে আসিয়ান সামিটে যোগ দিয়ে গুতেরেস জানিয়েছেন, পরিবেশ পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি বিপদ ঘনাচ্ছে ভারতের উপরই।
বিপদ বাড়ছে ভারতের
পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে ভারতের সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে। যে হারে বাড়ছে তাতে উদ্বেগজনক অবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপদ ঘনাচ্ছে ভারতের এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচির অ্যান্টনি গুয়াত্রেস। ২০৫০ সালের মধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় প্লাবনের কারণে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমনই বিপদ বার্তা শুনিয়েছেন তিনি। তাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে ভারতের উপর। আগেই অবশ্য পরিবেশবিজ্ঞানীরা এই নিয়ে ভারতকে সতর্ক করেছে।
বাংলাদেশ, চিন, জাপানেও পড়বে প্রভাব
তবে শুধু ভারত নয়। সমুদ্রের এই বিধ্বংসী রূপে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে বাংলাদেশ, চিন এবং জাপানের মতো দেশও। থাইল্যান্ডের প্রায় ১০ শতাংশ জনবসতি সমুদ্রে তলিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। সমুদ্রের এই জলস্তর বৃদ্ধির অন্যতম কারণ উষ্ণায়ণ। এই উষ্ণায়নের কারণেই বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর।
পরিবেশ দূষণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ
বাতাসে প্রচুর পরিমানে কার্বন কণা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব। সেকারণ সব দেশকে তাপ বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ আনার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। কার্বন কনার কারণে উষ্ণায়নের প্রভাব আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছে পরিবেশকর্মীরা। সেকারণে কয়লা চালিত কারখানা তৈরি বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছেন গুয়াত্রেস।