নির্বাচনী প্রচারে এখন থেকে রাম মন্দিরকে হাতিয়ার না করার আহ্বান উমা ভারতীর
নির্বাচনী প্রচারে এখন থেকে রাম মন্দিরকে হাতিয়ার না করার আহ্বান উমা ভারতীর
অযোধ্যা মামলা নিয়ে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় দানের পরে বিজেপির অন্দরে যখন জোরদার হচ্ছে "মন্দির উহি বানায়েঙ্গে" শ্লোগান, তখন হটাৎই পাল্টা সুর শোনা গেলো বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীয় গলায়। রায় ঘোষণার পরেই একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বক্তৃতা দেওয়ার সময় বিজেপি নেত্রী বলেন, "রামমন্দির সম্পর্কিত কোনও বিষয়কে নির্বাচনের হাতিয়ার না করে, এবার থেকে প্রতিটা নির্বাচনে দেশের আসল সমস্যা গুলোকে তুলে ধরা হোক। এবার থেকে নির্বাচনী লড়াই হোক ভাত কাপড় আর শিক্ষার জন্য।"
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের স্বর্গীয় রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের এই নিরপেক্ষ রায়কে আমি স্বাগত জানায়। এই রায় ভারতীয় রাজনীতিতে এক নতুন দিকের উন্মোচন করবে।" রাম মন্দির আন্দোলনের মূল নেতৃত্বে থাকা বিজেপির প্রবীণ নেতা লাল কৃষ্ণ আদবানিকে শ্রদ্ধা জানাতে উমা ভারতী আজ আদবানির বাসভবনে গিয়ে তাঁর সাথে দেখাও করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন , " দ্বন্দ্ব আসলে 'সাম্প্রদায়িকতা বনাম ধর্মনিরপেক্ষতার' মধ্যে। আদবানিজি সেই মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ খুলে তা জনসম্মুখে নগ্ন করে দেন। ভারতীয় জনতা দল আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তার পিছনে আদবানিজির ভূমিকা অপরিসীম।"
বিজেপি নেত্রী সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন, "সেইসময় সংসদে আমাদের মাত্র দুজন সদস্য থেকে আজ আমরা শাসকের আসনে। বিজেপির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী আদবানিজির অবদান অনস্বীকার্য।" তিনি আরও বলেন, আদবানিজিই প্রথম মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর কৃতিত্বেই আমরা আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি। তিনিই প্রথম জাতীয়তাবাদ বনাম মেকি ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে সংসদে আওয়াজ তুলেছিলেন।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কথা স্মৃতিচারণ করে উমা ভারতী বলেন, “আমি যখন অযোধ্যার রাস্তায় ছিলাম, তখন ভেবেছিলাম আমাকে গুলি করে হত্যা করা হবে। কিন্তু আজ আমি সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে খুবই অভিভূত। যদিও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের তদন্তের সাপেক্ষে গঠিত লিবারহান কমিশন এই ষড়যন্ত্রের পিছনে একাধিক খ্যাতনামা রাজনীতিবিদের সাথে উমা ভারতীর ইন্ধনের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিল আগেই।