যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন! রাশিয়ার সমর্থনে রাজধানী দিল্লিতে মিছিল হিন্দু সেনার, কিন্তু কী চায় তাঁরা
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন! রাশিয়ার সমর্থনে রাজধানী দিল্লিতে মিছিল হিন্দু সেনার, কিন্তু কী চায় তাঁরা
দিন যত এগোচ্ছে পরিস্থিতি তত ভয়াবহ হচ্ছে। সাইরেনের আওয়াজ এখনও থামছে না। যতদূর চোখ যাচ্ছে ততদূর শুধু লাশ, রক্ত ছাড়া আর কিছু নেই। ছবির মতন সাজানো ইউক্রেন শহর আজ যেন শশ্মানপুরী। রুশ সেনার আক্রমণে নিমেষে ভেঙ্গেছে হাজার হাজার বাড়ি, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে আরও কত কী। সেই সঙ্গে তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়েছে কত সাজানো সংসার। কত মানুষ তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। আজ যেন ইউক্রেনবাসীর শুধুই হাহাকার। যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরকে দেখলে সত্যিই চোখের জল ধরে রাখা যায় না। তবে, সবার একটাই প্রশ্ন কবে থামবে এই সংঘাত!
তাহলে কি এবার রাশিয়া-ইউক্রেনের আঁচ রাজধানী দিল্লিতে?
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ রাশিয়ার এই অগ্রাসনকে সঠিক বলে মনে করেন না। অন্যান্য দেশের নাগরিকরা ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তাঁর জন্য তাঁরা মিছিল করে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানিয়েছেন। পাশপাশি রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতেও দেখা গেছে একই রকম চিত্র।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্ল্মাদিমির পুতিনের মন জয় করতেই কি এই কাজ?
রাজধানী দিল্লিতে রাশিয়ার হয়ে দক্ষিণপন্থী সংগঠন হিন্দু সেনার স্বেচ্ছাসেবকরা মিছিল করলেন। রবিবার মধ্য দিল্লির কনট প্লেসে মিছিল করলেন তাঁরা। যেসকল স্বেচ্ছাসেবকরা যোগদান করেছিলেন তাঁদের বলতে শোনা গিয়েছে, 'রাশিয়া তুম সংঘর্ষ কর, হাম তুমহারে সাথ হ্যায়। ভারত মাতা কি জয়। ভারত-রাশিয়া দোস্তি জিন্দাবাদ।' প্রায় এক ঘণ্টা রাশিয়ার সমর্থনে মিছিল করলেন তাঁরা।
কী জানালেন হিন্দু সেনার জাতীয় সভাপতি
'আমরা
কিন্তু
মনে
করি
ভোটদানে
ক্ষান্ত
থাকার
চেয়ে
ভারতের
উচিত
ছিল
রাশিয়ার
হয়ে
ভোট
দেওয়া।
তাঁদের
সমর্থন
করা।
সবসময়ই
কিন্তু
বর্ণবিদ্বেষী
ইউক্রেন
পাকিস্তানকে
সমর্থন
করে
এসেছে।
তাঁরা
পরমাণু
কর্মসূচির
বিরুদ্ধে
পর্যন্ত
ভোট
দিয়েছে।
তবে
কোনও
যুদ্ধই
ভালো
নয়।
আমাদের
দেশের
নাগরিকদের
অবস্থান
শক্ত
করা
দরকার।
রাশিয়া
কিন্তু
সব
সময়েই
ভারতের
সুবন্ধু
ছিল।
আমারা
কিন্তু
রাশিয়ার
পাশেই
দাঁড়াব।'
এমনটাই
জানালেন
হিন্দু
সেনার
জাতীয়
সভাপতি
বিষ্ণু
গুপ্ত।
নেতা কর্মীদের মত কী
হিন্দু সেনার নেতা কর্মীরা জানান, আগে থেকে পুলিশের কোনও আগাম অনুমতি নেওয়া ছিল না কর্মসূচী নিয়ে। তাই পুলিশ এক ঘণ্টার বেশি মিছিল করতে দেননি। এটি শুরু হওয়ার আগে নয়াদিল্লির মান্ডি হাউসে রাশিয়ান লেখক আলেকজান্ডার পুশকিনের একটি মূর্তির নীচে রাশিয়ার সমর্থনে পোস্টার লাগায় তাঁরা।
russia ukraine war : দেশে ফিরেও শান্তি নেই, ধাঁধাঁর মধ্যে ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভবিষ্যত