Ukraine-Russa War: রাশিয়ার বিধ্বংসী রকেট হানা ইউক্রেনের মিলিটারি বেসে, কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
Ukraine-Russa War: রাশিয়ার বিধ্বংসী রকেট হানা ইউক্রেনের মিলিটারি বেসে, কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
যুদ্ধ থামার নাম নিচ্ছে না। রাশিয়া লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের উপরে। এবার ইউক্রেনের সেনা ছাউনি মাইকোলাইভে রকেট হানা চালিয়েছে রাশিয়া। সেই হামলায় কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিয়েভে এখনও ঢুকতে পারেনি রুশ সেনা। কিয়েভ রক্ষায় বুক চিতিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা বািহনী।
রাশিয়ার হুঙ্কারে মাথা নোয়াতে নারাজ ইউক্রেন। ২০ দিন পার করে ফেলেছে যুদ্ধ। অসম যুদ্ধে কিছুতেই ইউক্রেনকে কাবু করতে পারছে না রাশিয়া। বুক চিতিয়ে লড়াই জারি রেখেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের একের পর এক শহরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। খারকিভ প্রায় গুঁড়িয়ে দিয়েছে রুশ বাহিনী। সেই সঙ্গে মউরিপোলেও লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ চলছে। এদিকে কিয়েভ দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে রুশ সেনা। কিন্তু কিছুতেই কিয়েভ দখল নিতে পারছে না তারা। ইউক্রেনের যুদ্ধ কৌশলে কিয়েভ ঢোকার পথেই আটকে রয়েছে তারা।
এদিকে আবার পুতিন পরোক্ষে পরামণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে প্রবল দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে রাশিয়ার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুতিনকে রীতিমত হুমকি দিয়েছেন। পরমাণু অস্ত্র তুলে ধরলে ফল ভাল হবে না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন তাঁরা। রাশিয়াকে তীব্র নিশানা করেছেন ইউক্রেনের প্রেিসজেন্ট জেলেনস্কি। এদিকে আবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাতের অভিযোগ করেছেন পুতিন। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চললেও পরিস্থিতি কিছুতেই স্বাভাবিক হচ্ছে না।
গতকাল ইউক্রেনের সেনা ছাউনিতে রকেট হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তাতে কমপক্ষে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে আবার রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধে জৈব অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। এই নিয়ে ইউক্রেনে এবং রাশিয়া দুই দেশকেই সতর্ক করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। নিরাপত্তা পরিষদে এই নিয়ে সরব হয়েছে আমেরিকা। এদিকে রািশয়ার সঙ্গে ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি চিনকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেন এদিকে দাবি করেছে গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৪০টি বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজভ সাগরও তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। কিয়েভে লাগাদতার হামলার পাশাপাশি ইউক্রেনের একাধিক শহরে লাগাতার হামলা চালিেয় যাচ্ছেন তাঁরা। রাশিয়ার হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া মারিউপোলের থিয়েটার হলে এখনও তেরোশোর বেশি মানুষ আটকে রয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি ও নিরাপত্তা আলোচনাই রাশিয়াকে নিজের ভুল হওয়া ক্ষতি কমাতে একমাত্র সাহায্য করবে। এটা দেখা করার সময়. কথা বলার সময়। এটি ইউক্রেনের জন্য আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার করার সময়। সেটা না হলে রাশিয়ার যা ক্ষতি হবে তা কয়েক প্রজন্ম ধরে ভুগবে।