উজালা: শক্তি দ্বারা চালিত পণ্যের উন্নয়নের প্রকল্প
উজালা বা 'উন্নত জীবন বাই অ্যাফোর্ডেবল এলইডি অ্যান্ড অ্যাপ্লয়েন্সেস 'এর প্রকল্প চালু করেছে ভারত সরকার।এর দ্বারা শক্তিচালিত পণ্যকে আরও ভর্তুকি দামের মাধ্যমে বাজারে আনছে কেন্দ্র।
ভারত শক্তি উৎপাদনে ও তা থেকে চালিত পণ্য বাজারে আনতে বেশ কিছু সমস্যার মুখাপেক্ষি হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হল পরিবেশ বিষয়ক বেশ কিছু দিক। এনার্জি কনজারভেশনকে আরও সামনের সারিতে আনতে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রকেই অগ্রসর হতে হবে। এমনই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
উজালা বা 'উন্নত জীবন বাই অ্যাফোর্ডেবল এলইডি অ্যান্ড অ্যাপ্লয়েন্সেস 'এর প্রকল্প চালু করেছে ভারত সরকার।এর দ্বারা শক্তিচালিত পণ্যকে আরও ভর্তুকি দামের মাধ্যমে বাজারে আনছে কেন্দ্র। বর্তমানে এলইডি ল্যাম্প, টিউব লাইট ও ফাইভ স্টার রেটেড ফ্যান বিলিয়েছে সরকার।
উজালা কীভাবে সাহায্য করে?
বর্মানে দেখা যাচ্ছে যে উজালা থেকে প্রায় ৩ টি ধরণের সুবিধা পাওয়া যায়। প্রথমত শক্তিনির্ভর পণ্য বেশি ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ -এর খরচ কমে। ফলে বিদ্যুৎ এর ব্যবহারও কমে। সেক্ষেত্রে দেশ জুড়ে একটা বড় অংশের মানুষের সাশ্রয় হয়। দেশের একটা বড় অংশের বিদ্যুৎ আসে স্থানীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির কাছ থেকে।
দ্বিতীয়ত, দূষণের জন্য পরিবেশের উপর কর্মাগত কূপ্রভাব প়ডে চলেছে। তার বড় একটা কারণ সিওটু নির্গমন। যত বেশি শক্ত সঞ্চয় হবে পরিবেশে তত বেশি কার্বনের নির্গমন রোখা যাবে। তৃতীয়ত এলইডি বাল্বের দাম অনেক কম, আলোর জোর বেশি, তাই সাধারণ মানুষ একেই বেশি পছন্দ করে টিউবের থেকে।সরকার এই যোজনার সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় প্রতিটি এলইডি লাইটের দাম ৩১০ টাকা থেকে কমে ৮৫ টাকায় নেমে গিয়েছে।
'বচত ল্যাম্প যোজনা' নিয়ে কিছু তথ্য
এর আগে সরকার 'বচত ল্যাম্প যোজনা' নিয়ে অনেককটি কাজ করে। তবে সেই যোজন কিছুটা অসফল ছিল। সেই যোজনায় সিএফএল ল্যাম্প জনসাধরাণের মধ্য বিলিয়ে দেওয়া হত কম দামে। তবে তার তুলনায় উজালা যোজনা অনেক বড়ভাবে এসে যাওয়ায় , এর সাফল্য অনেক বেশি।
এখনও পর্যন্ত অগ্রগতি কীরকম?
এখনও প্রযন্ত সারাদেশে ২৩.৫ কোটি এলইডি ল্য়াম্প ছড়িয়ে দিতে পেরেছে কেন্দ্র। সরকারের এই কাজে সাহায্য করেছে বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশান সংস্থা, ও স্থানীয় কয়েকটি গোষ্ঠী। কেন্দ্রের এই নতুন প্রকল্পের জেরে বার্ষিকভাবে দেশের প্রায় ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে। কার্বন নির্গমের হারও কমেছে। এই হার ২.৪ লাখ টন কমেছে।
সবশেষে
'বচত ল্যাম্প যোজনা' র মতো কোনও প্কল্প চালু দিকেও ভাবতে পারে বর্তমান ভারতের পাওয়ার মিনিস্ট্রি। এর মাধ্যমে সিইআরেরবিক্রয় কমালে অনেকেরই অনেক সাশ্রয় হবে টাকা। মনে করা হচ্ছে উজালাকে কয়েকটি ধাপের বেশি বিস্তার করলে সমস্যা হতে পারে সরকারের।
(লেখক নীতিন মেহতা , রণনীতি কনসাল্টিং অ্যান্ড রিসার্চ -এর ম্যানেজিং পার্টনার। প্রণব গুপ্তা হলেন একজন স্বাধীন গবেষক।)