বহাল থাকবে ইউজিসির সিদ্ধান্ত? করোনা আবহে পরীক্ষা বাতিল নিয়ে চূড়ান্ত রায়ের পথে সুপ্রিম কোর্ট
বহাল থাকবে ইউজিসির সিদ্ধান্ত? করোনা আবহে পরীক্ষা বাতিল নিয়ে চূড়ান্ত রায়ের পথে সুপ্রিম কোর্ট
ইউজিসির পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকা ঘিরে জল ইতিমধ্যেই অনেক দূর গড়িয়েছে। একাধিক ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস না করে পরীক্ষা দেওয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। দাবি উঠেছিল পরীক্ষা বাতিলের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। শুক্রবার সেই বিষয়েই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে দেশের শীর্ষ আদালত বা সুপ্রিম কোর্ট।
ইউজিসির বিজ্ঞপ্তি ঘিরে একাধিক প্রশ্ন
বন্ধ ট্রেন। বন্ধ ক্লাস। এমতাবস্থায় ৬ই জুলাই একটি বিজ্ঞপ্তি পেশ করে ইউজিসি জানায় ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নিতে হবে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া কতটা যুক্তিযত তানিয়ে বারংবারই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
সুপ্রিম কোর্টে ইউজিসির নির্দেশিকা বাতিলের দাবি
এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করোনা আবহে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানায় একাধিক পশ্চিমবঙ্গ সহ রাজ্য। সর্বোচ্চ আদালতে জানানো হয়, রাজ্যগুলির সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কোনও আলোচনাই করেনি ইউজিসি। অন্যদিকে প্রতিটা রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি আলাদা তাই তাদের বিধিনিষেধ, নিয়মকানুন-ও আলাদা। তাই এই অবস্থায় পরীক্ষা হলে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা থেকে যায়।
আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা
এবার এই সমস্ত প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে শুক্রবারই এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৮ আগস্ট শীর্ষ আদালত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চূড়ান্ত বার্ষিক পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের শেষে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দেয়। কিন্তু, সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা না হলে কবে সেই পরীক্ষা হবে, আদেও হবে কিনা এই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। আশা করা যাচ্ছে, কালকের সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরেই ছাত্রছাত্রীদের বিভ্রান্তি খানিক দূর হবে।
পরীক্ষা না দিয়ে ডিগ্রি নয়
ইউজিসি বিজ্ঞপ্তি জারি করে, নির্দেশিকাগুলির পক্ষে সওয়াল করার সময় জানায়, "পরীক্ষা না দিলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের সাথে আপস করবে।" এদিন দীর্ঘ ৩ ঘন্টা শুনানির পর সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নির্ধারিত সময়সীমা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে, পরীক্ষা না নিয়ে ডিগ্রি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
এফএটিএফকে ধোকা দিয়ে চলে অর্থের আদানপ্রদান! পাকিস্তানকে আড়ালের চেষ্টা জইশ জঙ্গিদের