লোকসভা ভোট মিটতেই ফের অযোধ্যা অভিযানে শিবসেনা
লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরের সাফল্য নজিরবিহীন। সেই সাফল্যের রেশ ধরেই নতুন করে জেগে উঠেছে অযোধ্যা ইস্যু।
লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরের সাফল্য নজিরবিহীন। সেই সাফল্যের রেশ ধরেই নতুন করে জেগে উঠেছে অযোধ্যা ইস্যু। দ্বিতীয় মোদী সরকারের সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই অযোধ্যা অভিযানের ডাক দিয়েছেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। দলের জয়ী সাংসদদের নিয়ে অযোধ্যায যাবেন তিনি। আর এই সূত্র ধরেই নতুন করে জেগে উঠবে রাম মন্দির তৈরির জিগির।
একে জয় শ্রীরাম স্লোগান ঘিরে তোলপাড় গোটা দেশ ,তার উপরে শিবসেনার অযোধ্যা অভিযান। দু'য়ের জেরে আগামী কয়েক মাস নতুন করে গরম হয়ে উঠবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ভোটের আগে এই রাম মন্দির তৈরির জিগির তুলে সরব হয়েছিল শিবসেনা। রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে শিবসেনা সুপ্রিমো উধ্বব ঠাকরে বলেছিলেন, প্রতিশ্রুতি রাখেনি বিজেপি। রাম মন্দির তৈরি না হলে মোদী আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। শিবসেনার এই হুঙ্কারের পর অযোধ্যার মাটি গরম হয়ে উঠেছিল। সপরিবারে অযোধ্যায় গিয়ে পুজো দিয়েছিলেন শিবসেনা সুপ্রিমো।
[আরও পড়ুন: মোদী সরকারের মুকুটে আরও এক পালক! 'স্বচ্ছ্ব ভারত' নিয়ে চমকপ্রদ রিপোর্ট UNICEF -এর]
যদিও ভোট এগিয়ে আসতেই সেই গর্জন ক্ষীণ হতে শুরু করে। পুরণো সমীকরণেই বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে শিবসেনা। সাফল্যও আসে। তবে সেই সাফল্য শিবসেনার থেকেও বিজেপির বেশি ছিল। একাই এবার ৩৫০ আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে মোদী ব্রিগেড। তবে এই সাফল্যে শরিকদের ভুলে যাননি মোদী-অমিত শাহরা। শিবসেনার জয়ী প্রতিনিধিরাও জায়গা করে নিয়েছেন সংসদে। আবার নতুন করে জেগে উঠেছে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির ইস্যু। বিজেপির কাছে নিজেদের শক্তি জাহির করার একমাত্র উপায় এখন এই অযোধ্যা। সেকারণেই শিবসেনার এই অযোধ্যা অভিযান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন:নীতীশ, বিজেপির বিহার দ্বন্দ্ব: একই বিছানায় শুই কিন্তু কেউ কাউকে বিশ্বাস করি না ]