করোনার আবহেও মহারাষ্ট্র-সরকারে রাজনৈতিক সংকট ! কোন আশঙ্কায় উদ্ধবের ফোন মোদীকে
যে মোদীর দল বিজেপির হাত ছেড়ে তিনি মহারাষ্ট্রের মসনদে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন, সেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফোন করে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকটের আশঙ্কার কথা জানালেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। গত অক্টোবর মাস থেকে টানা এক মাস মহারাষ্ট্র দেখেছে চরম রাজনৈতিক নাটক। শেষে মুখ্যমন্ত্রী হন উদ্ধব। এবার ফের একবার টালমাটাল তাঁর গদি। যার জেরে তিনি ফোন করতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রীকে।
কার বিরুদ্ধে ক্ষোভ?
মহারাষ্ট্র লেজিসলেটিভ কাউন্সিলে উদ্ধবকে মনোনীত করার জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীরা। কিন্তু মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বি এস কোশিয়ারি সেই রেকমেন্ডেশন পেয়েও কিছু কার্যকরি ভূমিকা নিচ্ছেন না। তার জেরেই প্রধানমন্ত্রী মোদী করে ফোন করে সাহায্য চেয়েছেন।
মোদীর প্রত্যুত্তর
এদিকে, মোদী গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্ধব ঠাকরের থেকে সমস্ত কিছু জেনেছেন। তারপর তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে , তিনি এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উদ্যোগী হবেন। উল্লেখ্য, উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতনের আশঙ্কায় ভুগছে শিবসেনা সরকার। রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত যত দেরি হবে, ততই সাংবিধানিক সংকট দেখা দিতে পারে মহারাষ্ট্রে। আর সেই ত্রাস আপাতত উদ্ধবের মনে।
উদ্ধবের বার্তা
সূত্রের দাবি , উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন , করোনার এমন সংকটকালে রাজ্যে একবলমাত্র রাজ্যপালের জন্য অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। যা কাম্য নয়। বিশেষ সূত্রের দাবি, গতকাল রাতে মোদীর কাছে এই ফোন গিয়েছে। আর তারপর থেকে কোনদিকে ঘটনা এগোচ্ছে তা জায়া যাচ্ছে না এখনও।
কোন সংকট?
উল্লেখ্য, উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্র নির্বাচনে নির্বাচিত বিধায়ক নন। তাঁকে সেই কারণে লেজিসলেটিভ কাউন্সিল থেকে মনোনীত করার রেকমেন্ডেশন দেয় মন্ত্রিসভা। নয়তো তাঁকে ফের নির্বাচন লড়ে ফিরতে হবে বিধানসভায়। তারপরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাবেন। তবে করোনার পরিস্থিতিতে সমস্ত দিকটিই ঝাপসা হয়ে রয়েছে।