শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ২৬/১১ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদের তুলনা টানলেন উদ্ধব ঠাকরে
পাওয়ারের বিজেপি কটাক্ষ প্রসঙ্গে ঠাকরে বলেন,হাফিজ সঈদের ঢংয়ে কথা বলছেন পাওয়ার। সোস্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, পাওয়ার বলছেন নরেন্দ্র মোদী নাকি ক্ষমতায় আসার পর এই হিংসাত্মক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পাওয়ার কখন কী বলবেন তা সত্যিই অনুমান করা কঠিন। লোকসভা নির্বাচনে জঘন্য হারের পর উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন।
ঠাকরের অবাক প্রশ্ন পুণেতে এক আইটি কর্মী খুন হয়েছেন, মোদী সরকারের এতে কী করার আছে? এমন ধরণের মন্তব্য করার আগে শরদ পাওয়ারের জানা উচিত যখন মুম্বইতে আজমল কাসভ ও অন্য জঙ্গীরা নৃশংস হামলা চালিয়েছিল তখন নরেন্দ্র মোদী বা এনডিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল না।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সাম্প্রদায়িক হিংসা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে: পাওয়ার
এর পরে সুর আরও একধাপ চড়া করে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, এনসিপি মন্ত্রী জিতেন্দ্র আওয়াধ শরদ পাওয়ারের ঘণিষ্ঠ। থানেতে মুম্বই-কালওয়া এলাকার গুন্ডাদেপ বিরুদ্ধ পুলিশকে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেন না আওয়াধ। কারণ, সমস্ত গুন্ডারাই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বলে। একইসঙ্গে করাচি বিমানবন্দর হামলা প্রসঙ্গে সঈদের মোদীকে দায়ী করার প্রসঙ্গ টেনে উদ্ধব বলেন, হামলার দায় তাহরিক-এ-তালিবান নেওয়া সত্ত্বেও হাফিজ মোদীর বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিল, শরদ পাওয়ারও একই কান্ড করছেন।
রবিবার শরদ পাওয়ারের বিতর্কিত এক মন্তব্য থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। পাওয়ার অভিযোগ তোলেন, "মাত্র পনেরো দিন হল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি আর চারিদিকে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কিছু জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তরুণ আইটি কর্মীকে খুন হতে হচ্ছে।"
এমন ঘটনা আগে হতো না, কিছু নিম্নরুচির মতাদর্শই এইসব দাঙ্গায় উস্কানি দিচ্ছ্, শহরের বরিষ্ঠ নাগরিকরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।