ভাইয়ের কৃতকর্মের শাস্তি : দিদি ও বোনকে ধর্ষণে সিলমোহর পঞ্চায়েতের
লখনৌ, ২৯ অগাস্ট : ভাই রবির প্রেম ছিল একটি মেয়ের সঙ্গে। কিছুতেই তাতে মত ছিল না মেয়েটির পরিবারের। কারণ রবিরা নীচু জাতের অর্থাৎ দলিত, সমাজের কাছে অচ্ছুত। আর মেয়েরা ছিল উঁচু জাত। তাই জোর করে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিল পরিবার। [আত্মহত্যার হাত থেকে বাঁচিয়ে এনে ২০ দিন ধরে মহিলাকে ধর্ষণ]
তবে ভালোবাসা কি কখনও জাতপাত মেনে হয়? গত ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে দেওয়ার পর মার্চ মাসেই পালিয়ে যায় রবি ও তাঁর প্রেমিকা বিবাহিতা ওই মেয়েটি। ['বিকারগ্রস্ত' ছেলের হাতে ধর্ষিতা পৌঢ়া মা]
আর এরপরই ভয়ঙ্কর অত্যাচর শুরু হয় রবির পরিবারের বাকি সদস্যদের উপরে। রাজধানী দিল্লি থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত উত্তরপ্রদেশের বাগপত জেলার একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটলে স্থানীয় পঞ্চায়েত বিচারে বসে। [গণধর্ষণের দায়ে গ্রেফতার এবিসিডি ২-র নাচিয়ে]
পঞ্চায়েতের কেষ্টবিষ্টুরা আবার সবাই উঁচু জাতের। ফলে বিচারে ঠিক হয়, ভাইয়ের কৃতকর্মের ফল হিসাবে শাস্তি ভুগতে হবে রবির ২৩ বছরের দিদি মীনাক্ষি কুমারী ও তাঁর ১৫ বছরের বোনকে। কী শাস্তি? ধর্ষণ করা হবে দুজনে। এবং একইসঙ্গে মুখে কালি মাখিয়ে সারা গ্রামে ঘোরানো হবে। [ধারের টাকা না পেয়ে ভাইয়ের বউকে অচৈতন্য করে ধর্ষণ]
গত ৩১ জুলাই পঞ্চায়েত এই বিধান দেওয়ার পরই মীনাক্ষির পরিবার কোনওক্রমে গোপনে গ্রাম ছেড়েছে। অভিযোগ, এরপরে গ্রামের লোকেরা পঞ্চায়েতের নির্দেশে তাদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। [ধর্ষণে শীর্ষ স্থানাধিকারী ১০ টি দেশের তালিকা]
আপাতত গ্রাম ছাড়া অসহায় মীনাক্ষিরা ঘরে ফিরতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছে। অন্যদিকে রবির সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। তাঁরও যাতে কোনও ক্ষতি গ্রামের লোকেরা করতে না পারে, সেটা দেখতেও আবেদন জানানো হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। [৬ বছর ধরে মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ বাবার, নীরব দর্শক মা]
সরকারের কোনও অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে তৈরি একটি গ্রাম পঞ্চায়েত কীভাবে এতবড় সিদ্ধান্ত নিতে পারল ও দুটি মেয়ের জীবনকে বিপন্ন করতে উদ্যত হল তা নিয়ে সরব হয়েছে বিশ্বখ্যাত মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও। [ভারতের ১০ অসংবেদনশীল রাজনীতিবিদ]