ছাড়া পেলেন আরও ২ কাশ্মীরি নেতা, ফারুক আবদুল্লাদের মুক্তির কবে?
আরও দুই কাশ্মীরি রাজনীতিবিদকে মুক্তি দেওয়া হল আজ। সাজ্জাদ লোন ও ওয়াহিদ পারার মুক্তির খবর প্রকাশ করে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন। গত বছরের পাঁচ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পরই কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিককে আটক করে রাখা হয়।
ধাপে ধাপে কাশ্মীরের রাজনৈতিকদের মুক্তি
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সফরের আগেই চারজন কাশ্মীরি রাজনীতিবিদকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে জম্মু ও কাশঅমীর প্রশাসন। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে জানানো হয় যে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নাজির গুরেজি, পিডিপি-র আবদুল পক খান, পিপলস কনফারেন্লের মহম্মদ আব্বাস বানি ও কংগ্রেসের আবদুল রশিদকে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়। এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বরও পিডিপি-র দিলাওয়ার মীর ও ডেমোক্রেটিক পার্টি ন্যাশনালিস্টের গুলাম হাসান মীরকেও ছেড়ে দিয়েছিল কেন্দ্রশাসিত প্রশাসন।
গৃহবন্দি প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রী
২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই তাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪ মাস বন্দী থাকার পর মুক্তি দেওয়া হয় পাঁচ রাজনীতিবিদকে। তবে এখনও বন্দি রয়েছেন প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, তাঁর ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি।
প্রচার চালাতে কাশ্মীর সফরে যান ৩৬জন বিজেপি মন্ত্রী
এদিকে কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা মানুষকে বোঝাতে সেখানে যান অন্তত ৩৬ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহেরের পর প্রথমবার এরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরের জনগণকে বোঝআতে চেয়েছিলেন যে ৩৭০ ধারা লাগু থাকার জেরে কী ভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছিল কাশ্মীরিদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এই সফর ১৮ জানুয়ারি শুরু হয়। কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় তারা ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে এই প্রচার চালান।