অযোধ্যায় 'শেষ' ধর্ম মহাসভা! উত্তেজনা সামাল দিতে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত
অযোধ্যায় বাড়ছে উত্তেজনা। আরএসএস আর ভিএইচপি-র দাবি ইতিমধ্যেই তাদের প্রায় দুলক্ষ সমর্থক অযোধ্যায় উপস্থিত।
অযোধ্যায় বাড়ছে উত্তেজনা। আরএসএস আর ভিএইচপি-র দাবি ইতিমধ্যেই তাদের প্রায় দুলক্ষ সমর্থক অযোধ্যায় উপস্থিত। উপস্থিত হওয়া আরএসএস ও ভিএইচপি কর্মীদের অনেককেই শিবের পোশাকের আদলে পোশাক পড়েছেন। রবিবার সকাল হতেই সবাই মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে বসছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্মসভা।
আরএসএস ও ভিএইচপি-র দাবি
আরএসএস আর ভিএইচপি-র দাবি ইতিমধ্যেই তাদের প্রায় দুলক্ষ সমর্থক অযোধ্যায় উপস্থিত। এছাড়াও সাধু, সন্ত ধর্মগুরুতাও সেখানে উপস্থিতি থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। আরএসএস জানিয়েছে ১৩০০-র বেশি বাস ও ১৫০০-র বেশি চার চাকার গাড়িতে তাদের সমর্থকরা শহরে আসছেন।
ভিএইচপির তরফে জানানো হয়েছে, রবিবারের জন্য তারা তিনলক্ষ খাবারের প্যাকেট তৈরি রাখছে। আরএসএস এবং ভিএইচপির এই উদ্যোগ ২০১৯-এর নির্বাচনের আগে বিজেপিকে অনেকটাই সুবিধা করে দেবে বলে মনে করছেন দেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রামমন্দির তৈরিতে কেন্দ্রকে চাপ দিতেও তা সাহায্য করবে।
চলছে স্লোগান
শিবসেনা স্লোগান দিচ্ছে পেহলে মন্দির ফির সরকার। অন্যদিকে, ভিএইচপির স্লোগান, মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে। একই সঙ্গে তাদের স্লোগান মন্দির জলদি বানায়েঙ্গে।
অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
ইতিমধ্যে যোগী সরকারের তরফে অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেকেই ভয়ে শহর ছেড়েছেন বলে সূত্রের খবর। যদিও ভিএইচপির দাবি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শহর ছাড়ার খবর সম্পূর্ণ ভুয়ো। রামমন্দির তৈরিরে বাধা সৃষ্টি করতেই রটানো হচ্ছে নানা কথা। শুক্রবারের প্রশাসনের তরফে শহরের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে লখনৌ জোনের এডিজি আশুতোষ পান্ডে এবং ঝাঁসির আইজি এসএস বেঘালকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে আধাসামরিক বাহিনী। ২০ কোম্পানি পিএসি( উত্তরপ্রদেশ পুলিশ) মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে র্যাফও। শহরকে নিরাপত্তার স্বার্থে আটটি জোনের পাশাপাশি ষোলোটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে।
শেষ ধর্মসভা
শিবসেনা এবং ভিএইচপি জানিয়েছে, তারা তাদের সমর্থকদের দায় নেবে। আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে, এটাই অযোধ্যায় তাদের শেষ ধর্মসভা।
অযোধ্যা যাচ্ছেন উদ্ধব
উদ্ধব থ্যাকারে এবং তাঁর ছেলে দুটি আলাদা আলাদা চাটার্ড বিমানে শনিবার দুপুরে ফৈজাবাদে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। বিকেলে সরযূর তীরে আরতিতে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সাধুদের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে। রবিবার রাম জন্মভূমি পরিদর্শন করে মুম্বই ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
( ছবি সৌজন্য: পিটিআই)