হেফাজতে যুবকের মৃত্যু! ২ পুলিশ অফিসারের সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণা
দুই পুলিশ অফিসারের মৃত্যুদণ্ডের সাজা। পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় কেরলের ২ পুলিশ অফিসারকে মৃত্যুর সাজা শুনিয়েছে স্পেশাল সিবিআই আদালত। ২০০৫ সালে ২৬ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল পুলিশ হেফাজতে।
দুই পুলিশ অফিসারের মৃত্যুদণ্ডের সাজা। পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় কেরলের ২ পুলিশ অফিসারকে মৃত্যুর সাজা শুনিয়েছে স্পেশাল সিবিআই আদালত। ২০০৫ সালে ২৬ বছরের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল পুলিশ হেফাজতে।
বিশেষ সিবিআই বিচারক জে নাজের দুজনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সঙ্গে দুজনকেই ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাবইনস্পেক্টর কে জিথাকুমাক এবং দ্বিতীয় অভিযুক্ত ছিলেন সিভিল পুলিশ অফিসার এসভি শ্রীকুমার।
স্মরণকালের মধ্যে কেরলে দুই কর্মরত পুলিশ অফিসারের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ শোনা যায়নি।
তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রের দায়ে এই ঘটনায় অপর তিন অভিযুক্ত টিকে হরিদাস, ইকে সাবু এবং অজিত কুমারকে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তৃতীয় অভিযুক্ত কেভি সোমানের মৃত্যু হয়েছিল শুনানি চলাকালীন সময়ে। অন্যদিকে এক অভিযুক্ত ভিপি মোহনানকে আদালতে অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছিল আগেই।
প্রত্যেক অভিযুক্তকেই ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।
চুরির দায়ে উদয়কুমার নামে যুবককে হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের অত্যাচারেই পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
জিথাকুমার এবং শ্রীকুমার উদয়কুমারকে হেফাজতে নিয়েছিল। এই দুজনকেই যুবকের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছিল। বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তথ্য লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এদিকে এই রায়ের পরেই রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়।
মৃত উদয়কুমারের মা প্রভাবতী দেবীর হাইকোর্টে আবেদনের ভিত্তিতে ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।