বারাণসীতে মোদীর বিরুদ্ধে প্রচার চালাবেন দুই হিন্দু ধর্মগুরু
পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী অধ্যক্ষানন্দ দেবতীর্থ ও দ্বারকার শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী মোদীর বিরোধীতায় সরব হয়েছেন। যেখানে পুরীর শঙ্করাচার্যের অভিযোগ, ২০০২ সালে গুজরাতের দাঙ্গার জন্য দায়ী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে দ্বারকার শঙ্করাচার্য দীর্ধদিন ধরেই মোদী বিরোধীতা করছেন। সম্প্রতি 'হর হর মোদী' স্লোগানের বিরোধীতা করেন। তাঁর যুক্তি দেবাধিদেব মহাদেবের মন্ত্রের অনুকরণে তৈরি এই স্লোগান কখনও কোনও সাধারণ ব্যক্তির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে না।
আরএসএস ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে ভুল পথে চালিত করছে : পুরীর শঙ্করাচার্য
স্বামী অধ্যক্ষানন্দের কথায়, যে ব্যক্তি ক্ষমতার লোভে সাম্প্রদায়িক কারণে মানুষে বিভেদ লাগিয়েছে, সে ব্যক্তির মুখোশ টেনে ছিঁড়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা কোনও দলের সমর্থনে বারাণসীতে প্রচার চালাবে না, তবে, চাইব যাতে কোনও ধর্মনিরপেক্ষ দলই জিতুক।
অন্যদিকে স্বামী স্বরূপানন্দ জানিয়েছেন, তাঁর বার্ধক্য ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বারাণসীতে স্বয়ং গিয়ে মোদীর বিরোধীতায় প্রচার চালাতে পারবেন না তবে তাঁর শিষ্য স্বামী অভি মুক্তেশ্বরনন্দ গিয়ে তাঁর জায়গায় প্রচার চালাবেন।
মোদির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে পুরীর শঙ্করাচার্য বলেছেন, মোদি পাপ করেছেন আর কোনও বিবেকবান ব্যক্তি কখনই তাঁকে সমর্থন করবেন না। তিনি বলেন, মোদি গুজরাতে ক্ষমতায় আসার কয়েকমাস পরেই রাজ্যের বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন আর এই গণহত্যার জন্য দায়ী মোদি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ২০০২-র হিংসার সময় তিনি গুজরাতে গিয়ে পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে এসেছিলেন। রাষ্ট্রীয় সেবক সঙ্ঘকেও একহাত নিয়েছেন। ধর্মকে ব্যবহার করে আরএসএস মানুষকে ভুলপথে চালিত করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
স্বামী অধ্যক্ষানন্দের কথায় বিজেপির একাধিক নেতাই এমন ধরণের মন্তব্য করছেন মাঝে মধ্যেই যার ফলে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। এই সরকার ক্ষমতায় এলে দেশের অশান্তির আহব তৈরি হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।