সহকর্মীর গুলিতে নিহত ভোটের দায়িত্বে থাকা দুই সিআরপিএফ জওয়ান! যত কাণ্ড গুজরাতে
সহকর্মীর গুলিতে নিহত হলেন ভোটের দায়িত্বে থাকা দুই সিআরপিএফ জওয়ান! গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। জওয়ানরা মণিপুরের একটি সিআরপিএফ ব্যাটেলিয়নের।
সহকর্মীর গুলিতে নিহত হলেন ভোটের দায়িত্বে থাকা দুই সিআরপিএফ জওয়ান! গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা। জওয়ানরা মণিপুরের একটি সিআরপিএফ ব্যাটেলিয়নের। সামনের মাসে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নির্বাচন কমিশন তাদের এখানে পাঠিয়েছিল।
গুজরাতে পোরবন্দরের কালেক্টর এবং জেলা নির্বাচনী অফিসার এ এম শর্মা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় গুজরাতের পোরবন্দরে কাছে একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। তাদের সহকর্মী সিআরপিএফ জওয়ান আচমকাই চালান। এই ঘটনায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের দুই জওয়ান নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু-জন।
গুজরাতের পোরবন্দর জেলায় প্রথম দফার ভোট হবে ১ ডিসেম্বর। তারা পোরবন্দর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে টুকদা গোসা গ্রামে একটি সাইক্লোন সেন্টারের ভিতরে অবস্থান করছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় কোনও এক অজানা বিষয়কে কেন্দ্র করে একজন জওয়ানের সঙ্গে বচসা বাধে। সেছ বচসা চলাকালীন সেই জওয়ান তাঁর সার্ভিস রিভলভার থেকে সহকর্মীদের উপর গুলি চালায়। তাঁর অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে বেরিয়ে আসা একের পর এক গুলিতে দুই জওয়ান ঝাঁঝরা হয়ে যায়।
দুই জওয়ানেপ মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। এই ঘটনায় আরও দুই জওয়ান আহত হন। তাঁদের জামনগরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থাও গুরুতর। একজনের পেটে গুলি লেগেছে। অপরজনের গুলি লেগেছে পায়ে। যাঁর পেটে গুলি লেগেছে, তাঁর অবস্থা গুরুতর, আর একজন অপেক্ষাকৃত ভালো রয়েছেন।
গুজরাত প্রশাসন এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। গুজরাত নির্বাচনের আগে জওয়ানদের মধ্যে এমন রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ঘটে যাবে, তা ভাবা যায় না। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন্রী্তয় বাহিনীদের মধ্যে এই সংঘাত এবং যে সংঘাতের জেরে তারা একে অপরের প্রাণ কেড়ে নেয়, তা ভীতিকর। এখন তো এঁদের দেখেই সাধারণ ভোটাররা ভয় পাবেন।
এখন এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের পরিচয় সামনে আনেনি প্রশাসন। শীঘ্রই তাঁদের পরিচয় জানানো হবে। শুধুমাত্র জানানো হয়েছে, নিহত জওয়ানরা মণিপুর ব্যাটেলিয়নের। তাঁদের কী নিয়ে গন্ডগোল বাধল, আর কেনইবা তাদের প্রাণ দিতে হল, তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গুজরাতে ভোটের আগে এই ধরনের হিংসাশ্রয়ী ঘটনা সাধারণ মনেও প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। কেন জওয়ানরা হঠাৎ করে এমন ধরনের ঘটনা ঘটালেন, সার্ভিল রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে নিজের সহকর্মীকেই গুলি চালালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিরোধীরা এই ঘটনাকে ইস্যু করছে নির্বাচনে।