প্রধানমন্ত্রী মোদীর অ্যাকাউন্টের হ্যাকের পিছনে কোন কারণ? টুইটারের তদন্তে উঠে আসল চাঞ্চল্যকর তথ্য
খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে থাকা টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক। প্রায় কয়েক মিনিটের জন্যে অন্যের নিয়ন্ত্রনে অ্যাকাউন্ট। শুধু নিয়ন্ত্রনে থাকা নয়, রীতিমত একের পর এক পোস্ট। সাতসকালে যে পোস্ট দেখে অনেকেরই ঘুম উবে যায়। এই ঘটনা সাম
খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে থাকা টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক। প্রায় কয়েক মিনিটের জন্যে অন্যের নিয়ন্ত্রনে অ্যাকাউন্ট। শুধু নিয়ন্ত্রনে থাকা নয়, রীতিমত একের পর এক পোস্ট। সাতসকালে যে পোস্ট দেখে অনেকেরই ঘুম উবে যায়। এই ঘটনা সামনে আসার পরেই রীতিমত হুলস্থুল বেঁধে যায়।
কে বা কারা এই কান্ড ঘটাল তা জানতে মাঠে নেমে পড়েন সাইবার বিশেষজ্ঞরাও। তবে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিশ্বের সবথেকে বড় সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট টুইটার। এমনকি নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নয়াদিল্লি।
কি বলছে টুইটার!
তবে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই টুইটারে তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে যে, টুইটারের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আর তা ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। টুইটারের টিম দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্টের তরফে। শুধু তাই নয়, দ্রুত অ্যাকাউন্টটিকে সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
টুইটারের দাবি, এই মুহূর্তে আর কোনও অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাওয়ার খবর নেই। সংস্থা তাঁদের বিবৃতিতে আরও জানাচ্ছে যে, ঘটনার পরেই টুইটারের তরফে একটি তদন্ত করা হয় আর সেই অন্ততদন্তে জানা যাচ্ছে, টুইটারের কোনও সিস্টেমের সমস্যার জন্যে এই ঘটনা ঘটেনি।
মোদীর নামের অ্যাকাউন্ট হ্যাক
রবিবার প্রধানমন্ত্রী 'নরেন্দ্র মোদী'র (@narendramodi) নামে থাকা টুইটার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক হয়ে যায়। সেখানে কেউ বা কারা একটি ইউআরএল শেয়ার করে। মোদীর টুইটার অ্যাকাউন্টে লেখা হয়। ভারত বিটকয়েনকে আইনি ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সরকার পাঁচশটি বিট কয়েন কিনেছে। আর তা দেশের মানুষের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে। এই টুইট সামনে আসার পরেই রীতিমত হইচই বেঁধে যায়। জানা যায়, এগুলি সমস্তই ভুয়ো টুইট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন কোনও টুইট করেননি।
অনেক বিশ্বনেতা ফলো করেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশ্বের একাধিক তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্ব ফলো করেন। বিশ্ব নেতাদের মধ্যে একজন তিনি। সেখানে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপোন্স টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুরো ঘটনার তদন্তের। এর পিছনে কারা রয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এরপরেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। পুলিশের সাইবার সেলও বিষয়টি দেখছে বলে জানা যাচ্ছে।