আমেদাবাদ বিস্ফোরণের রায়কে স্বাগত জানিয়ে গুজরাত BJP-র করা পোস্ট ডিলিট করল টুইটার
২০০৮ সালের আহমেদাবাদ ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত মোট ৩৮ জন দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আমেদাবাদের বিশেষ আদালত। এরপরই এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির গুজরাত ইউনিটের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট করা হয়েছিল৷ সোমবার সেটি মুছে ফেলল টুইটার৷ গুজরাত বিজেপির মুখপাত্র যগনেশ দাভে রবিবার বলেছেন, ২০০৮ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের রায়কে সমর্থন জানিয়ে করা পোস্টটি টুইটার কতৃপক্ষ মুছে ফেলেছে৷ হয়ত এটির বিরুদ্ধে কেউ রিপোর্ট করেছে। আমেদাবাদ বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা হওয়া নিয়ে শনিবার গুজরা বিজেপির অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে একটি লেখা ও কার্টুন সহ পোস্টার পোস্ট করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ১৪ বছর আগে আমেদাবাদে ধারাবাহিক বোমা হামলায় ৫৬ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন। সে সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ সম্প্রতি এই মামলায় বিশেষ আদালত ৩৮ জন দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷ এ নিয়ে গুজরাত বিজেপির তৈরি ব্যঙ্গচিত্রে (যেটি টুইটারে পোস্ট হয়েছিল) বেশ কয়েকজনের ফাঁসি দেওয়ার ক্যারিকেচার আঁকা হয়েছিল। যাদের মাথায় ফেজটুপি পরিয়ে একটি বিশেষ ধর্মের মানুষকে টার্গেট করা হয়েছে ওই পোস্টে, বলে অভিযোগ উঠেছিল টুইটারেই৷ এরপরই টুইটার থেকে পোস্টটি ডিলিট করে দেয় কতৃপক্ষ। টুইটারের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ফলো করছিল না বলেই গুজরাত বিজেপির ওই টুইটটি ডিলিট করা হয়েছে বলে টুইটারে সূত্রে জানা গিয়েছে৷
প্রসঙ্গত, ২০০৮ এ গুজরাতের ২১টি সরকারি বেসরকারি জায়গাতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা৷ তার মধ্যে ছিল সরকারি হাসপাতাল, পৌরনিগম পরিচালিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আমদাবাদের এলজি হাসপাতাল, একটি বেসরকারি বাস, রাস্তার পাশে রাখা একটি সাইকেল, এমনকি কয়েকটি বেসরকারি গাড়িতেও পরপর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা৷ জেএমবি, মুজাহিদিন সহ একাধিক জঙ্গগোষ্ঠীর হুমকি ছিল যে এই ঘটনার ছ'বছর আগে হওয়া গুজরাত সাম্প্রদায়িক হিংসার বদলা নিতেই এই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি৷ এই হামলা এতটাই নৃশংস ছিল যে বিস্ফোরণে আহদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা৷ ওই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন অমিত শাহ। ইন্ডিয়ান মুজাহিদ নামের জঙ্গি সংগঠন এর পেছনে ছিল বলে জানা গিয়েছিল।