সিইও বদলের পরই টুইটারের পলিসিতে বড়সড় বদল! কী কী শেয়ার করা যাবে না এবার থেকে? রইল তালিকা
সিইও বদলের পরই পলিসিতে পরিবর্তন টুইটারের। এবার প্রাইভেসি পলিসিতে বদল আনছে সংস্থা, যাতে কোনও ব্যক্তির পরিচয় বা ব্যক্তিগত তথ্য গোপন থাকে। এবার থেকে ছবি বা ভিডিও শেয়ার করার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করা হচ্ছে। এবার থেকে কোনও
সিইও বদলের পরই পলিসিতে পরিবর্তন টুইটারের। এবার প্রাইভেসি পলিসিতে বদল আনছে সংস্থা, যাতে কোনও ব্যক্তির পরিচয় বা ব্যক্তিগত তথ্য গোপন থাকে। এবার থেকে ছবি বা ভিডিও শেয়ার করার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করা হচ্ছে। এবার থেকে কোনও ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া তাঁর ছবি বা ভিডিও টুইটারে শেয়ার করা যাবে না।
পাশাপাশি, যোগাযোগের নম্বর, বাড়ি ঠিকানার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ও আর শেয়ার করা যাবে না। কোনও পোস্ট থেকে যাতে হেনস্থার ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
টুইটারের পক্ষ থেকে ব্লগে লেখা হয়েছে, এবার থেকে কারও অনুমতি ছাড়া তাঁর কোনও তথ্য সংক্রান্ত মিডিয়া ফাইল শেয়ার করা যাবে না। সুরক্ষার দিকে নজর দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে।
নতুন পলিসিতে কী কী শেয়ার করা যাবে না?
নয়া এই পলিসিতে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। যেমন বাড়ির ঠিকানা, জিপিএস সংক্রান্ত তথ্য, কোনও সরকারি পরিচয় পত্র, আধার কার্ডের মতো পরিচয় পত্রের নম্বর, ফোন নম্বর, মেল আইডি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি শেয়ার করা যাবে না।
নতুন পলিসি অনুযায়ী, যদি কেউ এরকম কোনও পোস্ট সম্পর্কে অভিযোগ জানান, তাহলে সেই পোস্ট সরিয়ে দেবে টুইটার। মুলত ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৪ ঘন্টাও হয়নি বদল হয়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগিং সাইট টুইটারের সিইও। কার্যত জল্পনাকে সত্যি করেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টুইটারের সিইও পদ থেকে ইস্তফা দেন জ্যাক। প্রায় ১৬ বছর ধরে সংস্থার সিইও পদে ছিলেন। দীর্ঘ এই কর্মজীবনে টুইটারকে বিশ্বের প্রত্যেকটা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
কিন্তু ভারতীয় বংশদ্ভুত পরাগ আগরওয়ালের হাতে যাবতীয় তথ্য তুলে সংস্থা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর জ্যাকের ইস্তফার পরেই সংস্থার দায়িত্ব নিয়েছেন পরাগ। আর সেই দায়িত্ব নিয়েই পলিসিতে বেশ কিছু বদল আনার সিদ্ধান্ত টুইটারের।
বিশেষ করে এই মুহূর্তে ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের একটা অন্য জায়গাতে নিয়ে যাচ্ছে। আর তা ঠেকাতে চাইছে সংস্থা। আর সেই কারনেই পলিসিতে একগুচ্ছ বদল আনার সিদ্ধান্ত বিশ্বের অন্যতম বড় এই সোশ্যাল সাইটটির।
অন্যদিকে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকও তাঁদের পলিসিতে একগুচ্ছ বদল এনেছে। অনেক বেশি করে ইউজারদের কথা ভাবা হয়েছে ফেসবুকের নয়া পলিসিতে।