ভয়ঙ্কর রোগ, টিবিকে এল করোনা কোমর্বিডিটির তালিকায়
ভয়ঙ্কর রোগ, টিবিকে এল করোনা কোমর্বিডিটির তালিকায়
টিবিকে করোনার কোমর্বিডিটির তালিকায় নিয়ে এল কেন্দ্র। নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে টিবি এমন একটা রোগ যা করোনা আক্রান্তকে মহা বিপদে ফেলে দিতে পারে। এর আগে হাইপারটেনশন , ডায়াবেটিস এবং আরও কিছু রোগ রোগ এই তালিকায় ছিল। বলা হয়েছিল ইমিউনিটি যাদের কম তাদেরও সমস্যা রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল কিন্তু টিবির মতো ভয়ঙ্কর রোগ এই তালিকায় ছিল না। এবার সেই তালিকায় এল টিবি।
আগে কী বলা হয়েছিল?
২০২০ সালে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে দেখতে বলেছিল যে টিবি আক্রান্তদের উপর করোনা দ্রুত প্রভাব ফেলছে কি না। তারপর এটা নিয়ে তেমন করে ভাবা হয়নি। তবে এবার টিবিকে সরাসরি সেই তালিকায় ফেলা হল। টিবি ভারতের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের 'ন্যাশনাল প্ল্যান ফর টিউবারকুলসিস এলিমিনেশন ২০১৭-২০২৫ তে এই কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। টিবি বছরে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ভারতীয়র প্রাণ নেয়। দৈনিক মৃত্যু হয় ১৪০০ জনের। তারপরেও কেন করোনার কোমর্বিডিটির তালিকায় টিবি ছিল না তা বোঝা যায়নি। শেষ পর্যন্ত টনক নড়েছে কেন্দ্রের।
কী বলা হয়েছে নতুন নির্দেশিকায় ?
এই নতুন গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছে সোমবার। সেখানে সাত ধরনের মানুষকে 'হাই রিস্ক' তালিকায় বলা হয়েছিল। ষাটোর্ধ যার কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা আছে, হাইপারটেনশন, করোনারি আর্টারিতে সমস্যা, ডায়াবেটিস, এইচআইভি, লান্স , কিডনি, লিভারের সমস্যাযুক্ত এবং টিবি আক্রান্তরা প্রত্যেকেই রয়েছেন এই তালিকায়।
স্টেরয়েডেও না
এদিকে করোনা চিকিৎসায় স্টেরয়েড প্রয়োগ না করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দুই বা তার বেশি সপ্তাহ ধরে কোনও রোগীর কফের সমস্যা থাকলে তাঁদের যক্ষ্মা পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছে। কেন স্টেরয়েড দিতে বারণ করা হয়েছে? কারণ এ থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সহ নানা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে করোনা রোগীর অক্সিজেন দরকার পড়ছে না তাদের ইনজেকশনযোগ্য স্টেরয়েড দিলে উপকার মিলবে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। তাই অতিরিক্ত স্টেরয়েডের ব্যবহার রোগীর ক্ষতি করতে পারে।
সংক্রমণের নতুন বিভাগ
মূলত সংক্রমণকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে- মৃদু, মধ্যম ও গুরুতর উপসর্গযুক্ত। মৃদু উপসর্গদের হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। শ্বাসের সমস্যা , জ্বর অথবা কাশির সমস্যা পাঁচদিনের বেশি থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। দুই সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে রোগীকে যক্ষা টেস্ট করাতে হবে। অক্সিজেন লেভেল ৯০-৯৩-এ নেমে গেল দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।