সবে তো শুরু সুনামি, দেশের অর্থনীতির পতন নিয়ে মন্তব্য রাহুল গান্ধীর
সবে তো শুরু সুনামি, দেশের অর্থনীতির পতন নিয়ে মন্তব্য রাহুল গান্ধীর
দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার তিনি জানান যে কেন্দ্র বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে বলেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পতন ঘটেছে।
বিজেপির কারণে দেশের দুর্বল অর্থনীতি
সংসদের বাইরে রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের মুখোমিখি হয়ে বলেন, ‘২০০৮ সালে একই ধরনের তরঙ্গের ধাক্কা এসেছিল। আমাদের নীতির দ্বারা ভারতীয় অর্থনীতি সুরক্ষিত ছিল। স্টক মার্কেটে কি হচ্ছে আমারা তা দেখতাম। মোদী সরকারের জন্য অর্থনীতি ধ্বংস হয়েছে।' ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘আপনি স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে বৈধ অর্থ গ্রহণ করছেন এবং ইয়েস ব্যাংককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। আমি এখানে একটি পর্বত প্রমাণ দুঃখজনক ঘটনার মুখোমুখি হতে দেখছি।' গান্ধী বলেন, ‘আমরা এখন শুধু সুনামির প্রথমার্ধ দেখছি, পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে। অর্থনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটা শব্দও বলেন না, যেখানে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন অর্থীতির এক বিন্দুও বোঝেন না।'
দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূলে মোদী
দেশে করোনা ভাইরাস বেড়ে যাওয়ার জন্য রাহুল গান্ধা দায়ি করেন মোদীকে। তিনি এই সংক্রমক রোধ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ ছাড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস গুরুতরভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। ইতিমধ্যেই অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে এবং মহামারী দ্বারা সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।' চাকার ওপর ঘুমিয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, জানান গান্ধী। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিজেপি সরকার কি কি পদক্ষেপ করছে তা জানতে চান কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, ‘মোদীকে বলতে হবে যে এই ক্ষয়ক্ষতি রোধের জন্য তিনি কি কৌশল গ্রহণ করছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে আমি কয়েক মাস ধরে সরকারকে টুইট করে চলেছি, যাতে সরকার কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করতে আমরা এখনও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি।'
জ্যোতিরাদিত্য প্রসঙ্গে রাহুল
একদিন আগেই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী জানান যে সিন্ধিয়া ভুলে গিয়েছেন তাঁর মতাদর্শ এবং যেহেতু তিনি তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাই সেদিকেই এগিয়ে গিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে প্রাত্তন কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে গিয়ে কোনও সম্মান পাবেন না। রাহুল বলেন, ‘জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আমার অনেক পুরনো বন্ধু। কিন্তু তিনি তাঁর মতাদর্শ ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কি বলছেন এবং মনে কি ভাবছেন তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।' প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ছেড়ে সিন্ধিয়া বুধবারই বিজেপিতে যোগ দেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। সিন্ধিয়া তাঁর প্রাক্তন দল সম্বন্ধে জানান যে বাস্তবকে অস্বীকার করে এবং নতুন চিন্তাধারা বা নতুন নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দেয় না এই দল। সিন্ধিয়ার নাম ঘোষণা হয়েছে মদ্যপ্রদেশের রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে।