ট্রাম্পের নয়া নীতি, বিতারণের আশঙ্কায় আমেরিকার ভারতীয়রা
'এইচ-ওয়ান বি' ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাব কার্যকর হলে দেশে ফিরতে হবে ৫ লক্ষের মতো ভারতীয়কে। স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার জন্য যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের আর সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প
'এইচ-ওয়ান বি' ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাব কার্যকর হলে দেশে ফিরতে হবে ৫ লক্ষের মতো ভারতীয়কে। স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার জন্য যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের আর সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসন।
আমেরিকানস ফার্স্ট-এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৬-তে ক্ষমতায় এসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিশ্রুতি পূরণে 'বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান' নীতি নিয়েছে আমেরিকার প্রশাসন। যার প্রভাব গিয়ে পড়েছে 'এইচ ওয়ান বি' ভিসা নীতিতেও। যার ফলে আমেরিকা ছাড়া হতে পারেন প্রায় ৫ লক্ষ ভারতীয়।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, বিদেশি অতিথি কর্মীরা 'এইচ ওয়ান বি' ভিসার মাধ্যমে তিন বছর কাজ চালানোর পর আরও তিন বছরের জন্য সে দেশে তাদের কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই ছয় বছরের শেষেও যদি বিদেশি অতিথি কর্মী হিসেবে গ্রিন কার্ডের আবেদন পেন্ডিং থাকে, তখন অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য 'এইচ ওয়ান বি' ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বিশেষত ভারত এবং চিনের মতো দেশ থেকে গ্রিনকার্ডের আবেদনের ব্যাকলগ থাকায় ইতিমধ্যেই এই ধরনের অনেক 'বিদেশি অতিথি কর্মী' ১০ থেকে ১২ বছরের মতো সেখানে কাটিয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন এই ছাড় বন্ধ করতে চায়। 'এইচ ওয়ান বি' ভিসা হোল্ডার যিনি গ্রিনকার্ডের জন্য আবেদন করে সেদেশে ছয় বছর কাটিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে এবার আমেরিকা ছাড়তে হবে।
বছরে ৮৫ হাজার অভিবাসীকে 'এইচ ওয়ান বি' ভিসা দেয় আমেরিকা। যার মধ্যে ৬৫ হাজার ভিসা পান কর্মীরা। বাকি ২০ হাজার ভিসা পান আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করা ছাত্রছাত্রীরা। ভিসা প্রাপকদের ৭০ শতাংশই ভারতীয়। বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় তাঁরা কাজ করেন। গত ছয় বছরে প্রায় ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ভারতীয় 'এইচ ওয়ান বি' ভিসা পেয়েছেন।
'এইচ ওয়ান বি' ভিসা আইনে পরিবর্তন করা হলে অন্য দেশগুলির থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতই।
আমেরিকায় কাজ করতে যাওয়া বিদেশিদের নিয়ে ট্রাম প্রশাসনের উদ্যোগ এবারই প্রথম নয়। ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকার সময়েও 'এইচ ওয়ান বি' ভিসা হোল্ডারদের প্রতি শর্ত আরোপ করা হয়েছিল।
যদিও 'এইচ ওয়ান বি' ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগ একেবারেই প্রস্তাবের পর্যায়ে রয়েছে। এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্যও উঠে আসছে।