পরিবহণ দপ্তর ও পুলিশকে ঘুষ দিতে বছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় ট্রাক চালকদের, বলছে সমীক্ষা
ট্রাক
চালক
ও
ট্রাক
মালিকদের
বছরে
৪৮
হাজার
কোটি
টাকা
ঘুষ
দিতে
হয়
ট্রাফিক
বা
হাইওয়ে
পুলিশকে।
এর
পাশাপাশি
ঘুষের
অংশীদার
হন
পরিবহন
ও
কর
বিভাগের
ব্যক্তিরাও।
এই
নতুন
সমীক্ষা
করা
হয়েছে
১০টি
গুরুত্বপূর্ণ
পরিবহণ
ও
ট্রানজিট
হাবে।
এমনকী
সরকারি
নয়
এমন
চেকপোস্ট
অতিক্রমের
সময়ও
স্থানীয়
পুজো
কমিটিরাও
ট্রাক
চালকদের
থেকে
টাকা
নেয়
বলে
জানা
গিয়েছে।
এক–চতুর্থাংশ
চালক
সেখানে
টাকা
দেয়।
সেভ লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এই সমীক্ষা করা হয়। যেখানে এই সড়ক দুর্নীতি ধরা পড়েছে। এই সমীক্ষার দাবি, ৮২ শতাংশ মেনে নিয়েছে যে তারা তাদের শেষ সফরের সময় সড়ক–পরিবহনের সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেয়। এই সমীক্ষার ফলাফল পাওয়ার জন্য ১,১২৭ জন ট্রাক চালক ও ১১০ জন ট্রাকের মালিকের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়েছে। এই সমীক্ষাতে উঠে এসেছে যে ট্রাক চালকদের প্রত্যেকটি সফরের জন্য ১,২৫৭ টাকা করে ঘুষ দিতে হয়।
সড়ক–পরিবহণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং এই রিপোর্ট প্রকাশ করে দাবি করেছেন যে ভারতের প্রত্যেক স্তরে , দুই–তৃতীয়াংশ (৬৭%) চালক মেনে নিয়েছেন যে তাঁরা রাস্তায় ট্রাফিক বা হাইওয়ে পুলিশকে ঘুষ দেন। সমীক্ষায় যে ট্রান্সপোর্ট হাব নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে তার মধ্যে গুয়াহাটির ফল সবচেয়ে খারাপ। এখানে ৯৭.৫ শতাংশ ট্রাক চালক জানিয়েছেন যে তাঁরা ঘুষ দেন। এরপরেই রয়েছে চেন্নাই (৮৯%) ও দিল্লি (৮৪.৪%)। অন্যদিকে ট্রাক চালকরা আরটিও কর্মকর্তাদেরও অলিখিতভাবে ঘুষ দেন বলে জানা গিয়েছে, ৪৪% ট্রাক চালক এ ব্যাপারে নিশ্চিত জানিয়েছেন। ট্রাক চালকদের তাঁদের অংশের টাকা দিতে হয় পুলিশদের। সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুতে ৯৪% ও গুয়াহাটিতে ৯৩.৪% পাওয়া গিয়েছে।
ওই রিপোর্টে উদাহরণ হিসাবে দেখানো হয়েছে যে কিভাবে সরকারি কর্মকর্তারা পরিকল্পনা করে ট্রাক চালকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাঁদের একটি স্লিপ দিয়ে দেয় যাতে পরের চেকপোস্টটি তাঁরা নির্বিঘ্নে পার হয়ে যেতে পারে। রিপোর্টে এও উল্লেখ রয়েছে যে ট্রাক চালকদের (৪৭%) তাঁদের লাইসেন্স পুর্ননবীকরণের জন্য ঘুষ দিতে হয়। এ বিষয়ে মুম্বই এগিয়ে রয়েছে। এই শহরের ৯৩% চালক জানিয়েছেন যে তাঁদের লাইসেন্স পুর্ননবীকরণের জন্য ঘুষ দিতে হয়েছে। এরপরই রয়েছে গুয়াহাটি (৮৩%) এবং দিল্লি–এনসিআর ৭৮% একই দাবি করেছেন। লাইসেন্স পুর্ননবীকরণের জন্য যেখানে ট্রাক চালককে গড় হিসাবে ১,৭৮৯ টাকা দিতে হয় সেখানে দিল্লিতে এই কাজের জন্য কমপক্ষে ২,০২৫ টাকা দিতে হয় বলে জানিয়েছে রিপোর্ট। ৪৩% ট্রাক মালিক দাবি করেছেন যে তাঁদের গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের জন্য পরিবহণ দপ্তরকে ঘুষ (গড় ১,৩৬০ টাকা) দিতে হয়।
ট্রাক ব্যবসায় কিভাবে ঘুষ সমার্থক হয়ে উঠছে সেটা স্বীকার করে নিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, যখন তারা মূল্যায়নের জন্য যান সংখ্যা গণনা করতে চেকপোস্টগুলি রাখত, প্রত্যেক ট্রাক চালক তাঁদের ট্রাকের জানলা দিয়ে নোট দেখাতেন, তাঁরা সবসময়ই ভাবতেন যে পরিবহণ দপ্তরের চেকপোস্ট। মন্ত্রী বলেন, 'তাঁদের আমরা বলেছি চিন্তা না করতে।’