কেসিআরের টিআরএসের পাখির চোখ ১০০ লোকসভা আসনে! ২০২৪-এর টার্গেট ফিক্সড
কেসিআরের টিআরএসের পাখির চোখ ১০০ লোকসভা আসনে! ২০২৪-এর টার্গেট ফিক্সড
কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ২০২৪-এর লক্ষ্যে ভারত রাষ্ট্র সমিতিতে পরিণত হয়েছে। আসন্ন লোকসভা আসনে বিআরএসের পাখির চোখ ১০০ লোকসভা আসনে! টার্গেট ফিক্সড করেই আসরে নামছেন কে চন্দ্রশেখর রাও। এক রাজ্যের শাসক কেসিআরের অন্য কোন রাজ্যে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করছেন।
১০০ আসনের বাজিটিআরএসের
সূত্রের খবর, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি তেলেঙ্গানার পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশে নির্বাচনী লড়াই করতে নামছে। সেইসঙ্গে তাঁরা মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও কর্নাটকের সীমান্তবর্তী কেন্দ্রগুলিকেও টার্গেট করছে। ১০০ আসনের বাজি সামনে রেখে তাঁরা ২০২৪-এর রাজনৈতিক লড়াই লড়তে চাইছে। এখন প্রশ্ন টিআরএস এই লড়াইয়ে কাকে পাশে পাবে?
৫০টি আসনে লড়াই দিতে পারবে টিআরএস
তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিটি বর্তমানে ভারতীয় রাষ্ট্র সমিতির পক্ষে ৫৪৩টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যে সম্ভব নয়, তা তারা জানেন। তাই বেছে নেওয়া হয়েছে ১০০টি আসনকে। এই ১০০টি আসনে প্রার্থী দিলে তারা ৫০টি আসনে লড়াই দিতে পারবে বলে মনে করছেন পার্টি সুপ্রিমো কে চন্দ্রেশখর রাও বা কেসিআর।
২০২৪-এ যতটা সম্ভব বেশি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা
কেসিআর চাইছেন তেলেঙ্গানার ১৭টি লোকসভা কেন্দ্র-সহ অন্ধপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক থেকে যটা সম্ভব আসন জিততে। ২০২৪-এর নির্বাচনে যত সম্ভব বেশি আসন জিতে নিজেকে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বশালী করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। তিনি জানেন, বিজেপি বিরোধী রাজনীতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করত, ২০২৪-এ যতটা সম্ভব বেশি করে আসন জিততে হবে তাঁর দলকে।
একশো আসনে লড়াইয়ের কৌশল কী
তবে এই একশো আসনে লড়াইয়ের কৌশল কী হবে, তা স্পষ্ট করেনি টিআরএস নেতৃত্ব। কারও সঙ্গে জোট করে এই নির্বাচন তাঁরা লড়তে চাইছে, নাকি এককভাবে তাঁরা লড়াইয়ের ক্ষেত্র তৈরি করছে, তা সম্পূর্ণ ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছে তারা। সম্র্কতি ভারত পরিভ্রমণ করে কেসিআর বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে জোট বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু সেই জোট কোন সমীকরণে হবে, তা স্পষ্ট হয়নি।
টিআরএসের আবার কংগ্রেসে অ্যালার্জি
নীতীশ কুমার বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে মহাজোটে ফিরতেই কেসিআর দেখা করেছিলেন। নীতীশ কুমারকে জোট-বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিহারের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা ভারত রাষ্ট্র সমিতির নামগন্ধও নেই। তাই জোট গড়ে নির্বাচনে নামার কোনও প্রশ্নই নেই। নির্বাচনোত্তর জোট হতে পারে। এক্ষেত্রে বিহারে গিয়ে তেলেঙ্গানা লড়াই করবে, তা সম্ভব নয়, একইভাবে সম্ভব নয় স্ট্যালিনের রাজ্য তামিলনাড়ুতে বা মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-এনসিপির সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করা। কেননা টিআরএসের আবার কংগ্রেসে অ্যালার্জি রয়েছে। কংগ্রেসও টিআরএসের বিরোধিতায় সিদ্ধহস্ত।
নিয়োগ দুর্নীতির নাটের গুরু সুবীরেশ, নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগ মামলায় চার্জশিট সিবিআইয়ের