ভোটের মুখে শাসক দলে ‘বড়’ ভাঙন! রাহুল-সকাশে সাংসদের ‘দাবি’ সোনিয়ার পতাকা
আর এক পক্ষ কাল বাকি নির্বাচনের। তার আগেই শাসক শিবিরে বড়সড় ধাক্কা লাগল। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আকাশ তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি ছেড়ে কংগ্রেসের পথে পা বাড়িয়ে দিলেন সাংসক বিশ্বেশ্বর রেড্ডি।
আর এক পক্ষ কাল বাকি নির্বাচনের। তার আগেই শাসক শিবিরে বড়সড় ধাক্কা লাগল। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আকাশ তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি ছেড়ে কংগ্রেসের পথে পা বাড়িয়ে দিলেন সাংসক বিশ্বেশ্বর রেড্ডি। পদত্যাগ পত্র আগেই পাঠিয়েছিলেন কেসি রাওয়ের কাছে। এদিন দেখা করে এলেন কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে।
২৩ নভেম্বরে কংগ্রেসে যোগ
আগামী ২৩ নভেম্বরই তিনি যোগ দিতে পারেন কংগ্রেসে। ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর হাত থেকে তিনি কংগ্রেসের পতাকা তুলে নিতে চাইছেন। সেইমতো কংগ্রেসের এক অনুষ্ঠানে তিনি সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছে। এদিনই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জ ফ্লুক ছিল না
সপ্তাহ খানেক আগেই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিল কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের সেই চ্যালেঞ্জ যে নেহাত ফ্লুক ছিল না, তা প্রমাণ হয়ে গেল সাংসদের দল ছাড়ায়। তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি দাবি করেছিলেন, শীঘ্রই টিআরএসের দুই সাংসদ দল ছাড়তে চলেছেন। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দল ছাড়লেন সাংসদ।
|
রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ সাংসদের
টিআরএস সুপ্রিমো কেসি আর এরপর কম চেষ্টা করেননি তাঁকে দলে রাখতে। কিন্তু তাঁর সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে কংগ্রেসের পথেই পা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্বেশ্বর রেড্ডি। তিনি এদিন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। উভয়ের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তাঁদের এই সাক্ষাতের জেরে কংগ্রেসে-যোগ জল্পনা আরও তুঙ্গে ওঠে
আরও পড়ুন:আরএসএস আর দিলীপ এখন দুই মেরুতে! ২৪ ঘণ্টায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল মত]
জল্পনার মধ্যেই কংগ্রেস-যোগের বার্তা
এখন টিআরএস প্রধান চিন্তিত, প্রথম উইকেট তো পড়ল, দ্বিতীয় উইকেট কে? কেসি আরের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়ে ২৩ নভেম্বর সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসের পতাকা নিজের কাঁধে তুলে নেবেন রেড্ডি। কংগ্রেস সূত্রে এমন সম্ভাবনার কথা জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আবার কি মেয়র পদে সুব্রত! ‘হেভিওয়েট' মেয়রের জন্য আইন বদলের জল্পনাও জোর ]
ভোট-বাক্সে প্রভাব রেড্ডির দলবদলে
রঙ্গা রেড্ডি জেলার চেভাল্লা সংসদীয় কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বিশ্বেশ্বর রেড্ডি। তাঁর দল ছাড়ার প্রভাব বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট-বাক্সে পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই নেতার অন্য এক পরিচিতিও রয়েছে। অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা প্রতাপ সি রেড্ডির জামাই। তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা রেড্ডি অ্যাপোলো হাসপাতালে ম্যানেজিং ডিরেক্টর। প্রযুক্তিবিদ থেকে রাজনীতিক হওয়া কে বিশ্বেশ্বর রেড্ডির রাজনৈতিক প্রভাবও এখন যথেষ্ট।
[আরও পড়ুন:কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে রাজ্য অন্ধ হবে! জনগণকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর]