
বাংলায় তৃণমূল আর পড়শি রাজ্যের নির্বাচনী ফলে খুশি! এবার প্রশান্ত কিশোরের দুয়ারে আরও এক 'সরকারি' দল
উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) তেমন কোনও খোঁজ পাওয়া না গেলেও তাঁর সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে, দেশের আরও এক সরকারি দল তেলেঙ্গানার (Telangana) টিআরএস (TRS) এবার ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য নিতে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এব্যাপারে ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে টিআরএস-এর শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হয়ে গিয়েছে।

বিজেপির সঙ্গে লড়াই
তেলেঙ্গানায় বিজেপি তার অবস্থা শক্ত করছে। সেই পরিস্থিতিতে ২০২৩-এর ডিসেম্বরে বিধানসভা এবং ২০২৪-এর এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে টিকে থাকতে চায় তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৮-কে বিধানসভা নির্বাচনে টিআরএস বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। তৃতীয়বার অর্থাৎ ২০২৩-এর ডিসেম্বরের নির্বাচন টিআরএস-এর কাছে চ্যালেঞ্জের।

প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কথা
সূত্রের খবর অনুযায়ী টিআরএস সভাপতি তথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং দলের কার্যকরী সভাপতি কেটিআর রামা রাওয় কয়েক সপ্তাহ আগে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। টিআরএস-এর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের চুক্তির বিষয়টিও কার্যকরী হওয়ার পথে বলেই জানা গিয়েছে।

তামিলনাড়ু ও বাংলার ফলকে সামনে রেখে এগোচ্ছে টিআরএস
২০২১-এ যেসব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে বাংলা ছাড়া ছিল তামিলনাড়ু। এই দুই রাজ্যে যথাক্রমে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে-কে সাহায্য করেছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। এই দুই-দলই ক্ষমতায় এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই রাজ্যের ফলাফল ছাড়াও টিআরএস-এর সামনে রয়েছে ২০১৯ সালে তেলেঙ্গানার অপর পড়শি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের নির্বাচনে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিল আইপ্যাক। ২০১৯-এ অন্ধ্রে ক্ষমতায় এসেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। বড় ব্যবধানেই জয় পেয়েছিল ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

উত্তর প্রদেশে বিজেপি জিতলেও, ভোট কমবে
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে বিজেপি জিতলেও ভোট কমবে বলেই মনে করেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। তবে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনকে তিনি ২০২৪-এর আগে সেমিফাইনাল বলতে নারাজ। তিনি বলেছেন, উত্তর প্রদেশের বিজেপি জয়ী হলে, সেখানে তাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনে ক্ষতি করবে। অন্যদিকে নিজের রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী এআইএমআইএম-এর সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া, নিজেকে ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মুখ হিসেবে দেখতে চাওয়া ওই নেতা কিছুটা হলেও সফল হয়েছেন।
এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যে প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য নিলেও আইপ্যাকের কাজের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ। তাঁরা বলছেন, প্রশান্ত কিশোরের কাজ হল কর্পোরেটের মাধ্যমে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। কোনও দলের দায়িত্ব নিয়ে সেই দলের মৌলিক গঠনকেই ধ্বংস করে সেখানে মেরুকরণের ওপরেই জোর দেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও এব্যাপারে প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।