রাতের শহরে মহিলাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিতে উদ্যোগ ত্রিপুরার যুবকের
হায়দ্রাবাদের ২২ বছরের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকেই। এই প্রথম নয়, একের পর এক নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে দেশের যুব সমাজের ভাবমূর্তি নিয়েও।

এরই মধ্যে ত্রিপুরায় দেখা গেলো সম্পূর্ণ অন্য এক চিত্র। রাত্রে পথে-ঘাটে অফিস ফেরতা বা অন্য কাজে আটকে পড়া মহিলাদের মোটরবাইকে করে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন ত্রিপুরার বছর বাইশের যুবক প্রসেনজিৎ সরকার। পাশাপাশি, তার বন্ধুরাও এই কাজে তাকে সমর্থন করে তার এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আগরতলা শহরের বাধারঘাট রেলওয়ে স্টেশনে বর্তমানে ইলেক্ট্রিশিয়ানের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রসেনজিৎ। তার এই উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি জানান, " গত সপ্তাহের বুধবার হায়দ্রাবাদের প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষণের ঘটনাটি আমাকে ভীষণ ভাবে বিচলিত করে, তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নিই আমি, পাশে পেয়েছি অনেক বন্ধুকেও।"
দক্ষিণ ত্রিপুরার বেলোনিয়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ এরপরই গত রবিবার দুপুরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নিজের নাম, বাসভবন, মোবাইল নাম্বার সহ একটি বার্তা পোস্ট করেন এবং মহিলারা রাতে বাড়িতে পৌঁছতে কোনও সমস্যায় পড়লে তাকে ফোন করতে বলেন।
প্রসেনজিৎ এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, "সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা ইতিমধ্যেই এইটি বাইক বাহিনী গঠন করেছি, আমরা একত্রিত হয়ে আমাদের অসহায় মা- বোনেদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
এই উদ্যোগকে সমালোচনা করে লেখিকা এবং মহিলা সংগঠনের কর্মী নন্দিতা দত্ত বলেন,"মহিলারা এই ব্যক্তি কে ঠিকঠাক ভাবে চেনেন না, তাই সেখানেও থেকে যাচ্ছে ঝুঁকি। এটি অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ, তবে এই ধরনের সহায়তার জন্য আগ্রহী যুবকদের স্থানীয় থানায় স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে তালিকাভুক্ত করা উচিৎ।"
অন্যদিকে লেখিকা শুক্লা সিংহ মন্তব্য করেন, " সমস্ত পুরুষ ধর্ষক নন, তবে সমস্ত মহিলাই সম্ভাব্য শিকার। আমি একা ভ্রমণ করি, নিজের নিরাপত্তা রক্ষার্থে ছুঁড়ি বা অস্ত্র ব্যবহার করলেও ৩, ৪ জন পুরুষ কে শারিরীক ভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সুতরাং, এটি নিঃসন্দেহে একটি মহৎ উদ্যোগ। তবে, হ্যাঁ এটি কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।"
১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনালয় আইনের সংশোধন, মোদীকে চিঠি লিখে দাবি জানালেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী