বিজেপি বামেদের পথেই হাঁটছে! ত্রিপুরার মানুষই শিক্ষা দেবে, জল্পনা বিজেপি নেতার মন্তব্যে
বিজেপি বামেদের পথেই হাঁটছে! ত্রিপুরার মানুষই শিক্ষা দেবে, জল্পনা বিজেপি নেতার মন্তব্যে
ত্রিপুরায় তৃণমূলের জোয়ারে বিজেপির উথালপাথাল অবস্থা। অনেক বিজেপি নেতা বেসুরো গাইতে শুরু করে দিয়েছেন। তাঁরা মনে করছে, এই বিজেপি বামেদের পথেই হাঁটছে। মানুষ তাদের যোগ্য জবাব দেবে। তাৎপর্যপূর্ণ এই কথা শোনা গেল বিজেপিরই এক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী নেতার গলায়। তাঁর এই কথাতেই পরিবর্তনের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
তৃণমূলে যোগ-জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে জিতেনের মন্তব্য
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিন দুয়েক আগে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করে জানিয়েছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন স্পিকার জিতেন সরকার যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে। ত্রিপুরার প্রাক্তন স্পিকার পাঁচ বারের বিধায়ক, প্রাক্তন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতা, বর্তমানে বিজেপি নেতা জিতেন সরকারের কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যও তৃণমূলে যোগ-জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সম্প্রতি
বিজেপি যেভাবে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করছে, নিন্দনীয়
বিজেপি নেতা জিতেন সরকার উপলব্ধি করতে শুরু দিয়েছেন তৃণমূলের ত্রিপুরা দখলের পরিকল্পনা। তাঁর মতে একটা রাজনৈতিক দল কোনও রাজ্যে বিস্তারলাভের পরিকল্পনা করতেই পারে। কিন্তু তা শাসকদল বিজেপি যেভাবে রাজ্যে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করছে, সেই তালিবানি কায়দাকে সমর্থন করেন না তিনি। তিনি বিজেপি সরকারের অবস্থানের সঙ্গে সহমত নন বলে স্পষ্ট করে দেন।
মানুষ আচরণের নিন্দা করছে, প্রত্যাখ্যানও করবে
বাংলার তৃণমূল নেতারা ত্রিপুরায় পাড়ি জমিয়েছেন ২০২৩-এর আগে রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের পরিকল্পনা নিয়ে। তৃণমূল নেতাদের আটকাতে বিজেপি তালিবানি কায়দায় আক্রমণ করছে, গাড়ি ভাঙচুর করছে। হোটেলে থাকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তও তিনি মেনে নিতে পারছেন না বলে জানান জিতেন সরকার। তাঁর মতে, মানুষ এই আচরণের নিন্দা করছে, পরে প্রত্যাখ্যান করবে।
বামেদের পথ নিতে শুরু করেছে বিজেপি
ত্রিপুরার প্রাক্তন স্পিকার জিতেন সরকার মনে করেন, মানুষ কখনও কোনও রাজনৈতিক দলকে আটকাতে নির্মম আক্রমণের রাস্তা নিলে, তা মেনে নেয় না। এ সব ভালো চোখে নেয় না মানুষ। যাঁরা এ ধরনের আক্রমণের রাস্তা নিচ্ছেন, তাঁদের অবিলম্বে বিরত হওয়া উচিত। বামেরাও একটা সময় এমন আচরণ করেছিল। মানুষ তা মেনে নেয়নি। বিজেপি এখন সেই পথ নিতে শুরু করেছে। বিজেপিকে বুঝতে হবে, সুযোগ পেলে নিজেকে রক্ষা করতে সবাই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
মানুষ নিজে যখন গণ প্রতিরোধের রাস্তা নেবে...
জিতেনবাবু বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, জেলা সভাপতিকে বলেছি এ পথে না হাঁটতে। তাহলে গণপ্রতিরোধ শুরু হবে। গণপ্রতিরোধ হলেই মুশকিলে পড়বে বিজেপি। এতদিনের রুলিং পার্টি সিপিএমকে মানুষ বিদায় জানিয়ে দিয়েছে। মানুষ নিজে যখন গণ প্রতিরোধের রাস্তা নেবে, তখন বিজেপিকে বিদায় জানাতেও তারা দু-বার ভাববে না।
বিজেপিতে রুষ্ট জিতেনও পরিবর্তনের পক্ষে!
বর্তমানে বিজেপি নেতা জিতেনবাবু যে দলের রুষ্ট, তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। বিজেপির প্রতি তাঁর এই রুষ্ট মনোভাবেই জল্পনা বেড়েছে। তিনি তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছেন বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ৬০ বছর ধরে ত্রিপুরার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জিতেন সরকার। এখন তিনি ফের পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করেন কি না, সেটাই দেখার।