বিজেপি সরকারের উদ্যোগ! ত্রিপুরার এই রাজপ্রাসাদকে মিউজিয়ামে রূপান্তর
ত্রিপুরার শতবর্ষ প্রাচীন পুষ্পভান্ত প্রাসাদকে মিউজিয়াম এবং রিসার্চ সেন্টারে রূপান্তরিত করা হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার বিজেপি সরকার।
ত্রিপুরার শতবর্ষ প্রাচীন পুষ্পভান্ত প্রাসাদকে মিউজিয়াম এবং রিসার্চ সেন্টারে রূপান্তরিত করা হবে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার বিজেপি সরকার। ১৯৭২ সাল থেকে এই পুষ্পভান্ত প্রাসাদ সেখানকার রাজ্যপালদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহার হয়ে এসেছে। সব মিলিয়ে ১৬ জন রাজ্যপাল সেখানে থেকেছেন।
ত্রিপুরা নতুন মিউজিয়াম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর রিসার্চ সেন্টার পেতে চলেছে। সেখানকার শতবর্ষ প্রাচীন পুষ্পভান্ত প্রাসাদকে মিউজিয়াম ও রিসার্চ সেন্টারে রূপান্তরিত করা হবে।
১৮ এপ্রিল ত্রিপুরার নতুন রাজভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে উঠে গিয়েছেন রাজ্যপাল তথাগত রায়।
রাজ্যপালের সচিব সমরজিৎ ভৌমিক জানিয়েছেন, প্রায় ১০১ বছর আগে ব্রিটিশ শাসনে পুষ্পভান্ত প্রাসাদ তৈরি করেছিল মার্টিন বার্ন কোম্পানি। রাজভবন নতুন বাড়িতে উঠে যাওয়ায় পুষ্পভান্ত প্রাসাদকে মিউজিয়াম ও রিসার্চ সেন্টারে পরিণত করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
রবীন্দ্র গবেষক পান্নালাল রায় জানিয়েছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাতবার ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন। ১৯২৫ সালে শেষ রাজা বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের অতিথি হিসেবে এই প্রাসাদেই ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
১৯৭২ সালে ত্রিপুরা রাজ্যের মর্য়াদা পায়। সেই সময় থেকেই ১.৭৬ হেক্টরের ওপর তৈরি এই প্রাসাদ রাজভবন হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
ইতিমধ্যেই এই প্রাসাদকে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু রাজার শাসনের জন্য নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংস্পর্শে আসার জন্যও এই পুষ্পভান্ত প্রাসাদকে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জানিয়েছেন রাজ্যপালের সচিব।